পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । মহামন কশ্যপ বিনিবৃত্ত হইলে, পুত্রবৎসল দনু কোন কথাই কহিলেন না । তিনি স্থিরভাবে অবস্থান করিতে লাগিলেন। কিন্তু সুতৰিয়োগসন্তাপে একান্ত ব্যথিত হওয়াতে র্তাহার বুদ্ধির কিছুমাত্র স্থিরতা ছিলনা। তিনি ভাবিতে লাগিলেন যে, তাহার স্বামী মনে করিলে তাহার পুত্রগণকে সৎপথে প্রবর্তিত করিতে পারিতেন। অথবা দেবাদিদেব বামুদেবের হস্ত হইতে কোন ৰূপে তাহাদিগকে রক্ষাও করিতে পারিতেন । কিন্তু তিনি তাহাদিগের প্রতি ৰীতরাগ হইয়াই যেন তাহ করেন নাই। এই ভাবিয়া দানবজননী স্বামীর প্রতি আতিশয় অভিমানিনী হইলেন । তিনি কিছুমাত্র বাঙনিম্পত্তি না করিয়া অবনত-বদন অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। সূত কহিলেন ; হে দ্বিজসত্তমগণ অনন্তর দৈত্যজননী দিতি নিরতিশয় অভিমানভরে কহিতে লাগিলেন, হে স্বামিন ! আপনি যাহা বলিলেন তাহ সমস্তই সত্য। অবশ্যম্ভাবী দৈবদুর্ঘটনার হস্ত হইতে কেহই নিস্কৃতি লাভ করিতে পারেন না। সকলই একমাত্র অদৃষ্টের আয়ত্তাধীন। ভবিষ্যতের অন্ধকারময় গৰ্বেতে কি নিহিত আছে, কে তাহ নির্ণয় করিয়া বলিতে পারে ? কিন্তু আমার চিত্ত আর কিছুতেই প্রবোধ লাভ করিবে না। সুমহতী দুঃখপরম্পরায় আমি অতিমাত্র অভিভূত হইয়াছি। জ্ঞান-বুদ্ধি আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছে। জ্ঞানবুদ্ধিহীন ব্যক্তির তত্ত্বজ্ঞান কিৰূপে সম্ভব হইতে পারে? যাহার