পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্বজ্ঞান নাই তাহার প্রবোধ নাই । অদিতিকে এতদিন প্রিয় ভগিনী বলিয়া জ্ঞান করিতাম। কিন্তু জানিলাম সে আমার পরম শত্রু। নাথ! স্বামীই স্ত্রীলোকের একমাত্র গতি। স্বামীর উপর স্ত্রীলোকের কোন আধিপত্য নাই। স্ত্রী পতির দাসী । দাসীর প্রতি প্রভুর অসাধ্য কিছুই নাই। আপনি আমার প্রতি যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারেন । এবং তাহাই করিয়াছেন । স্বামীর প্রসাদ-লাভই স্ত্রীজাতির একমাত্র বাঞ্ছনীয়। যে নারী সে মহাপ্রসাদ লাভে বঞ্চিত, তাহীর জীবিতপ্রয়োজন পর্য্যকসিত । তাহার প্রাণধারণ বিড়ম্বনামাত্র। আপনি আমাদের ভর্তা ! আমরা আপনার প্রসাদ-প্রত্যাশিনী! কিন্তু আপনি তাহাতে আমাকে বঞ্চিত করিয়াছেন। আপনি আমার মান ও মনোভঙ্গ করিয়া অবশেষে প্রাণসম পুত্রগণকে বাসুদেব-করে বিনষ্ট হইতে দেখিয়াও অকাতরে সহ্য করিয়াছেন । আপনি কি ইচ্ছা করিলে তাহার প্রতিষোধ করিতে পারিতেন না ? এ হতভাগিনীর প্রতি আপনার যদি কিছুমাত্র অনুরাগ বা মমতা থাকিত, তাহা হইলে আপনি কখনই বৎসগণের তাদৃশ বিপদরাশি সন্দর্শনে অনায়াসে উপেক্ষা করিতেন না ? আমার প্রতি আপনার যে প্রকার সুেহামুরাগ তাহ আমি সমস্ত বুঝিতে পারিয়াছি। আর আমার জীবন ধারণে কিছুমাত্র আবশ্যক নাই। স্বামীই অবলা নারীজাতির একমাত্র গতি । অামি যদি সেই পতি-প্রেমে বঞ্চিত হইলাম, তখন আর কি জন্য এ বৃথা দেহ ধারণ করিব ? কাহার জন্য এ শোকদুঃখময় অনিত্য মর্ত্যধামে অবস্থান করিয়া দিবানিশি দারুণ যন্ত্রণায় দগ্ধ হইব ? : প্ৰভো! আপনি অধিনীর প্রতি একান্তই বাম ও প্রতিকুল । কুইয়াছেন। সপত্নী অদিতিই আপনার সমস্ত অনুরাগ অঙ্কি