পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৬৪৩

ভূমিখণ্ড । ❖8ጫ সতীত্বের পরাকাষ্ঠী, ঋচীক তন্দ্ৰপ সাধুতার অদ্বিতীয় নিদর্শন । ঋচীকের পিতা পুত্রের এইপ্রকার অভিমত পত্নীলাভঘটন। শ্রবণ করিয়া, যার পর নাই সুখী হইলেন । সপত্নীক পুত্রের দর্শন জন্য তদীয় চিত্তবৃত্তি, একান্ত উৎসুক হুইয়ণ উঠিল । তিনি তাহার বেগধারণে অসমর্থ হইয়া, তথায় আগমন করিলেন । এবং পুত্ৰৰধুকে অভিমতগুণশালিনী দর্শন করিয়া, নিরতিশয় হর্ষাবিষ্ট হইয়া, পিতার যতদূর সাধ্য, তাছা অপেক্ষা অধিকতর আশীৰ্ব্বাদ প্রয়োগ পুরঃসর গদগদ বাক্যে কহিলেন, বৎস ঋচীক ! বংস সত্যবতি । চন্দ্র ও পূর্ণিমার ন্যায়, বিষ্ণু ও লক্ষনীর ন্যায় তোমাদের শুভযোগ দর্শন করিয়া, অদ্য অামার নয়ন সার্থক হইল । অলৌকিক সৌভাগ্যক্রমেই তোমাদের পরস্পর শুভসংযোগ ংঘটিত হইয়াছে। আশীৰ্ব্বাদ করি, কোন কালেই যেন চন্দ্রের সহিত পেীর্ণমালীর ন্যায় তোমাদের বিচ্ছেদ সংঘটিত না হয় । তোমাদের উত্তরোত্তর-বৰ্দ্ধমান পরমবিশুদ্ধ দম্পত্য দর্শন করিয়া, লোকে যেন তাছার অনুকরণ করে । ঈশ্বর যেন কোন কালেই তোমাদের মৃতু্য প্রেরণ না করেন ; একমাত্র অমৃত যেন তোমাদিগকে আশ্রয় করে । তোমাদের চিত্তবৃত্তি যেন কোন কালেই অপ্রসন্ন না হয় । সত্য ও ধৰ্ম্ম যেন সৰ্ব্বকাল তোমাদের সহায় হয়েন ৷ ‘ এবং শান্তি যেন পরম স্নেহময়ী জননীর ম্যায়, তোমাদিগকে চিরকাল ক্রোড়ে বহন করেন । অনন্তর তিনি ক্ষুয়াকে কহিলেম, বৎসে ! তুমি সাতিশয় বুদ্ধিমতী ও গুণবতী, স্বামির প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিতে হয়, তােহা তোমাকে উপদেশ