পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పాషి পদ্মপুরাণ । লজাভয়হীন ইত্যাদি বলিয়া তিরস্কার করিতেছ। তুমিশান্তির সুখময় প্রসাদলাভে সম্পূর্ণ বঞ্চিত রহিয়াছ। এক্ষণে যাহাতে তোমার এই দারুণ মোহান্ধকার বিদূরিত ও বিজ্ঞানবল পুনরাগত হয়, সে বিষয়ে সবিশষ যত্নশীল হও । শান্তির নিৰ্ম্মল জ্যোতিঃ তোমার স্থদুরপরাহত রহিয়াছে। এক্ষণে একমাত্র সেই শান্তির সেবা কর তাহা হইলে তোমার সকল দুঃখের অবসান হইবে । বীতরাগ কহিলেন, হে সৰ্ব্বজ্ঞ ! তুমি স্ত্রীর স্বরূপ আনুপুৰ্ব্বিক শ্রবণ করিলে, এক্ষণে বৃদ্ধ স্ত্রীর লক্ষণ কীৰ্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ কর । যাহার মাংস গলিত হইয়াছে, কেশ ও শরীরের লোমাবলীসকল শুক্লবৰ্ণ ধারণ করিয়াছে এবং শক্তি শিথিল হইয়া গিয়াছে লোকে সাধারণতঃ তাহাকেই ৰূদ্ধ বলিয়া থাকে। কিন্তু আমার মতে ঐরূপ স্ত্রী বৃদ্ধাপদবাচ্য নহে। বয়োরূপবিনাশিনী জরার আক্রমণে সকলেই উক্ত প্রকার বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হইয় থাকে। বস্তুতঃ সংসারীমাত্রেই বাল্য, যৌবন ও বাদ্ধক্য এই দশাত্ৰয়ের অধীন। হে সৰ্ব্বজ্ঞ । যে নারী জ্ঞানপ্রভাবে নিত্য পরিবৰ্দ্ধিত হয়েন, সংসারপাশ যাহাকে স্পর্শমাত্র করিতে পারেন, যাহার বুদ্ধি সর্বদা পরমার্থপদবীতে প্রধাবিত, সে নারী যুবতী হইলেও বৃদ্ধাপদবাচ্য । তাহার কেশাদি পলিত না হইলেও তাহার বৃদ্ধত্ব সিদ্ধ হইয়া থাকে। হে মহাপ্রাজ্ঞ ! ঈদৃশী জ্ঞানবৃদ্ধ ললনাকেই লজ্জা করা কর্তব্য । এবং ইনি সংসারে সর্বদাই অখণ্ডিত প্রতিষ্ঠা প্রাপ্ত হইয়। থাকেন । 14 অনস্তর মহাপুরুষ বীতরাগ পুনৰ্ব্বার কহিলেন, হে সৰ্ব্বজ্ঞ । তুমি যে মাতার কথা উল্লেখ করিয়া আমাকে নিলঙ্গ বলিয়৷