পাতা:পদ্মাপুরাণ - নারায়ণ দেব.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HᏱᏬ সম্বন্ধে অনেক মুক্তন কথা জানিতে পারা যাইত । এই সাহিত্যে অস্ত্ৰণাত্রের প্রভাব অন্ন নহে। প্রধানত: শৈব, শাক্ত, বৌদ্ধ (মহাযানী) ও বৈষ্ণব ধর্মের ভিতর এই অশামের বিশেষ প্রভাব দেখা যায়। ইহার ফলে এই সমস্ত ধৰ্ম্মানুগ সাহিত্যেও তাত্রিক প্রভাব সুস্পষ্টভাৰে विनामांन ब्रईिशांछि। শৈব ও শাক্ত ধৰ্ম্মের অনেকটা সমন্বয়া-হেতু শাক্ততন্ত্রে শিব বিশেষ স্থান অধিকার করিয়া আছেন দেখিতে পাওয়া যায়। শাক্ততান্ত্রিক সাহিত্য হিসাবে বাঙ্গালা মঙ্গলকাব্যগুলিতে শিবঠাকুরের প্রাধান্য উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন বাঙ্গালী জনসাধারণের সাহিত্য শিবায়ন ও মঙ্গলকাব্যসমূহে শিবঠাকুর সাপের খেলা দেখাইয়া বেড়ান বলিয়া বাণিত হইয়াছেন। তঁহার অঙ্গেও সর্পভুষণ। সাপ বঙ্গদেশে এমন কি সারা ভারতে, এ দেশবাসীর অন্যতম ধৰ্ম্মানুগ জাতীয় চিহ্ন (totem) হিসাবে কোন সময়ে গণ্য হইত কিনা তাহা দেখা প্রয়োজন। ভারতে নাগপূজার ন্যায় বানর পূজারও বিশেষ প্রচলন অদ্যাপি রহিয়াছে। সপোের সহিত মানবজাতির সম্বন্ধের কথা বিচার করিতে গেলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, কোন কোন অসভ্য জাতি সৰ্পকে খাদ্যরূপে ব্যবহার করিতেছে, আবার সভ্যাসভ্য-নির্বিশেষে কোন কোন জাতি তাহার পূজাও করিতেছে। মানুষ সর্পকে যেমন ভয় করে এবং মারিতে দ্বিধা করেনা, আবার তাঁহাকে দেবতাঙ্গানে পূজাও করিয়া থাকে। অনেক দেশের গ্রন্থে *, বিশেষত: ধৰ্ম্মগ্রন্থে, সৰ্পের উল্লেখ আছে। হিন্দুদিগের সংস্কৃত নানা পুরাণে, যথা ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে ও পদ্মপুরাণে, নানা নামে পরিচিত। সপদেবী মনসার কথা আছে। মহাভারতেও মনসাদেবীর বৃত্তান্ত পাওয়া যায়। শেষোক্ত গ্রন্থে সৰ্প দিগের বৃত্তান্ত উপলক্ষে কক্ৰ-বিনতা উপাখ্যান ও জনমেজয়ের সর্পযজ্ঞের কথা আছে। দুই প্রধান দেবতা নারায়ণ ও শিবের মধ্যে নারায়ণের অনন্ত-শয্যা এবং মহাদেবের সমুদ্রমন্থনোদ্ভূত কালকূটুপান ও সর্পভুষণ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সংস্কৃত শাস্ত্রগ্রন্থাদি ভিন্ন বাঙ্গালা সাহিত্যে সাপ যে স্থান অধিকার করিয়া আছে তাঁহাই আমাদের বৰ্ত্তমান আলোচ্য বিষয় । সর্পপূজক দ্রাবিড়গণের প্রভাব এবং সৰ্প-প্রভাবান্বিত অষ্ট্রিক ও মঙ্গোলিয় ( তিববতন্ত্ৰী ) জাতির প্রাচীনতর প্রভাবও প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যে থাকা বিচিত্র নহে । বাঙ্গালা দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে মঙ্গলকাব্যগুলির মধ্যে মনসামঙ্গল রচনার ঝোঁক একটু অধিক দেখা যায়। ইহার কারণ তিনটি হইতে পারে। প্রথম,-অষ্ট্রিক ও মঙ্গোলীয় প্রভাব ; দ্বিতীয়,—দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গে নদনদী এবং পলিমাটির প্রভাব হেতু সপধিক্য ও মনসাপূজার সমারোহ; তৃতীয়,-দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষা শক্তিপূজার প্রভাবাধিক্য। এই সকল কারণে দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গে মনুস্রাদেবী মঙ্গলচণ্ডীর ন্যায় অন্যতম। শক্তিরূপে বিশেষভাবে পূজিতা হইয়া আসিতেছেন । Tree and Serpent Worship by Fergusson, Encyclo. of Religion and Ethics ar. Encyclopaedia Britannica arey i B-578,