পাতা:পদ্মিনী - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/২১

৩য় দৃশ্য ] পদ্মিনী । ܡܗܶܠ ঘোরী তখন বুঝলে, ধৰ্ম্মযুদ্ধে ক্ষত্ৰিয় পরাজয় অসম্ভব। তখন সে রণে ক্ষান্ত দিয়ে, পৃথ্বীরাজের কাছে সে-রাত্রির মত বিশ্রাম প্রার্থনা করেছিল । ধৰ্ম্মযুদ্ধের চিরন্তনী-নীতি, পৃথ্বীরাজ শক্রির এ প্রার্থনায় ‘না” বলতে পারলেন না । যুদ্ধ স্থগিত হ’ল। ক্ষত্ৰিয় রণক্ষেত্রে ও বিলাসম্পবনে কোনও পার্থক্য দেখে না । অস্ত্ৰ বনবানা ও নৃত্যগীতের মধুর সারা তার কর্ণে একরূপ ঝঙ্কারই উৎপাদন করে । ভারতীয় যুদ্ধে তখনও কুট-নীতি প্ৰবেশ করেনি। বীৰ্য্যবান মামুদ, আৰ্য্য সন্তানের উদ্দাম বিলাসিতার শাস্তিস্বরূপ যে কয়বার ভারত আক্ৰমণ করেছিল, তার একটিী বারেও সে যুদ্ধে রণনীতি পরিত্যাগ করেনি। শুধু বীৰ্য্যে, শুধু বাহুবলে সে ভারতীয় রাজাদের পরাস্ত করেছিল । পুর্থীরাজের সম্মুপে “তখন সেই ইতিহাসের জাজ্জল্যমান অক্ষর - --তিনি মনের কোণেও স্থান দিতে পারেন নি যে, বীর মহম্মদ ঘোরী যুদ্ধে নীতি বিসর্জন করা হল । সুতরাং রণক্ষেত্রে তার সমস্ত সৈন্য, রণসাজ ত্যাগ ক’রে, আমোদ প্ৰমোদে মত্ত ছিল ; এমন সময়ে ঘোরী রাত্রির অন্ধকারের সহায়তায় কাগার নদী পার হয়ে, ভীমবেগে পৃথ্বীরাজের ছাউনী আক্রমণ কবে । যুদ্ধের জন্য প্ৰস্তুত হ’তে না হ’তে তার সমস্ত সৈন্য পিন্ধবস্ত হয়, পৃথ্বীরাজও রণক্ষেত্রে বন্দী হন । লক্ষ্মণ । এখন তা আমরা দেখে শিখেছি, কাৰ্য্যে বুঝেছি - আমাদেরও সে নীতি অবলম্বনে দোষ কি ? ( ভীমসিংহের প্রবেশ ) ভীম । রাণা ! এ ক্ষত্ৰিয়-শ্রেষ্ঠ, অগ্নিকুলের মুখপাত্র চিতোর-পতির (*jJ द६ ब् । লক্ষ্মণ । কেন খুল্লতাত ! মাতৃভূমি রক্ষাই প্ৰত্যেক সস্তানের একমাত্র উদ্দেশ্য, আর সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হ’লে যখন শাস্ত্ৰবিহিত অক্ষয় স্বৰ্গ পুরস্কার, তখন এরূপ মহৎকাৰ্য্যের জন্য কুট-নীতি অবলম্বন দোষ কি ?