পাতা:পদ্য-সংগ্রহ - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্য-সংগ্ৰহ । শয্য-সরোবরে রাখি পদ্মিনী ভ্রমরে । লুকাইয়া দেখে সব থাকিয়ে অন্তরে ॥ কি কথা কহিবে কান্ত করিছে ভাবন।। ঘোমটা দেখিয়ে চেয়ে হইয়ে বিমন ৷ “কি ভাবে ভাবনা প্রিয়ে, ভাবিয়ে না পাই । পরিণত বিধুমুখ, তাহে কথা নাই । রূপের গৌরবে বুঝি হয়ে গরবিণী । প্রেমাধীন জনে দুখ দেও আদরিণি " কামিনী কহিল কথা পীযুষের তারে । প্রভাতে ললিত যেন বাজিল সেতারে ॥ “সুরসিক তুমি নাথ, আমি হে বালিকে । বচন রচনা ভাল রসিক রসিকে ৷” অধরে চুম্বন করি বলেন রসিক । “কিসে প্রাণ-কমলিনি, আমি সুরসিক । তব সনে প্রণয়িনি, এই দরশন । বল দেখি আমি তব হই কোন জন ॥” রসিক। বালিকা করে সরস উত্তর । “ তব পরিচয দিব শুন প্রাণেশ্বর | জানিয়াছি জিজ্ঞাসিয়ে ঠাকুরঝির ঠ। ই । তুমি প্রাণ, হও মোর ঠাকুর জামাই ॥” উত্তরেতে নিরুত্তর মাধব হইল । বাহিরে মহিলা দল হাসিতে লাগিল । গুণমণি অধোমুখ সুখ অপমানে । চতুরা রমণী বলি রমণীরে মানে । নানারূপ অশলাপনে নিশি হয় শেষ । যে হয় জামাই সেই জানে সবিশেষ ॥" দিনেক দুদিন থাকি মধুরা নগরে । বিদায়ি বসন লয়ে যায় নিজ ঘরে ॥ মনসুখে প্ৰণমিয়া ষষ্ঠীর চরণ । রচিলেন দীনবন্ধু সুখের পাৰ্ব্বণ ॥ Rసి