পাতা:পরমার্থ-জ্ঞানরত্নাকর.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্ম ক্তিগীত৷ জীবন্মুক্তৌচ যা মুক্তিঃ সা মুক্তিঃ পিগুপাতনে । যা মুক্তিঃ পিগুপাতেন স৷ মুক্তি নিখুকরে। ১ । এক সময়ে এই পুণ্যভূমি ভারতবধর্মধ্যে বৌদ্ধধৰ্ম্মের অতিশয় প্রাদুর্ভাব হষ্টয়াছিল। সেই বৌদ্ধমতাবলম্বির। শূন্যকে আত্ম কহিত, সুতরাং তাহার দিগের মতে এই পাঞ্চভৌতিক দেহ পঞ্চভূতে লুর প্রাপ্ত হইলেই জীবের মুক্তি হয়। যথা “ মৃত্যুরেব মুক্তিরিতি , অর্থাৎ জীবের দেহ ৰিনশিই মুক্তি। সম্পতি বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বিদিগের এতক্রগ যুক্তি লক্ষণের প্রতি দোষারোপণ পূর্বক স্ত্রীযুক্ত দত্তাত্রেয় মহাপুরুষ জীবন্মুক্তির স্বরূপ লক্ষণ কহিতেছেন । যথা—হে প্রিয় শিষ্য ! জীৱন্ম,ক্তিতে যে যুক্তি কথিত হইয়ছে তাহা যদি জীবের দেহনাশ হইলেই হয় বল তৰে শূকর কুক্কুরাদির দেহ নাশ হইলে তাহারাও মুক্তিভাজন হইতে পারে। যদি বঙ্গ তাঁহাই স্বীকার করি । ভান্স; তুমি বিবেচনা করিয়া দেখ, যদি এতদ্রুপ নিশ্চিত থাকে যে জীবের দেহ মশ, হইলে মুক্তি হইবেই হইবে তাহার কোন সন্দুেহ নাই, তাহা হইলে এই বিশ্ব সংসারে কোন জীবেরই মুক্তি প্রাপ্তির ইচ্ছা থাকিতে পারে না যেহেতুক কীট পতঙ্গাদি অতিশয় ক্ষুদ্র প্রানিদিগেরও চরমে মুক্তি লাভের সমৰিন আছেঃ অধিকন্তু অযত্ন সুলভ বস্তুর প্রতি কে কোনকালে শ্রদ্ধা প্রকাশ করিয়া থাকে । অতএব হে প্রিয় শিষ্য ! প্রাগুক্ত বৌদ্ধমত নিতান্ত অপ্রদ্ধেয়, আমি তোমাকে জীবন্মুক্তির স্বরূপ লক্ষণ বিস্তার করিয়া কহিতেছি তুমি মনোযোগপুৰ্বক প্রবণ কর । অনুমান করি এতদ্বারা তোমার বৌদ্ধমতের প্রতি অeশ্রদ্ধা ও যথার্থ মুক্তিপ্রাপ্তির কমনও বলবতী হইতে পরিবেক ৷৷ ১ ৷৷ জীবঃ শিবঃ সৰ্ব্বমেব ভূতে ভূতে ব্যবস্থিতঃ। এবমেবাভি পশুস্তি জীবন্মুক্ত: স উচ্যতে। ২ । এই যে জীব ইনিই শিৰস্বরূপ, যেহেতুক একমাত্ৰ সৰ্ব্বব্যাপি পরব্রহ্ম চৈতন্যই সৰ্বদেহে সচ্চিদশনন্দরূপে বিরাজিত আছেন। এড়ন্ধপে "যিনি সর্বন্ধে একমাত্র পূরমাত্মাকে দর্শন করেন তিনিই জীৱন্মুক্ত বলিয়। কথিত হয়েন। অর্থাৎ যিনি কণমাদি রিপুকুকে পরাজয়পূর্বক হৃদয়গ্রন্থি নাশ করিয়া-জীবর্দশাতেই সৰ্বব্যাপি পরমাত্মাকে দর্শন করিয়াছেন তিনিই জীবঙ্গ,ঞ্জ বলিয়। কথিত হয়েন। স্ত্রীযুক্ত দত্তাত্রেয় মহাপুরুষ বৌদ্ধোঞ্জ মুক্তি লক্ষণের প্রতি দোষারোপণ করিয়৷ পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোকম্বার মুক্তিস্বরূপ কথনে ।