পাতা:পরমার্থ-জ্ঞানরত্নাকর.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট। ১৭৩ সম্প্রতি স্থানে যে প্রকার ব্রহ্মসভার উন্নতি ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মে বুদ্ধিমান লোকের মনুরাগ দৃষ্ট হইতেছে তাহীতে বোধ হয় কতিপয় বৎসরের মধ্যই পুনর্বার সমস্ত ভারতবর্ষমধ্যে পুরাকালের ন্যায় সত্যশ্বৰ্ম্মের জ্যোতিঃ বিকীর্ণ হইতে পরিবেক । যেমন সুৰ্য্যদেব পূৰ্ব্বদিগবিধি পশ্চিমদিক পর্যন্ত পৃথিবীর অৰ্দ্ধাংশ অন্ধকারে আচ্ছন্ন করিয়। ধীরে ২ অন্ত গমনপূর্বক পৃথিবীর অপরাদ্ধাংশে জ্যোতি বিকীর্ণ করেন এবং পুনৰ্ব্বার পূর্বস্থানে উদয়ের পূর্বের স্বকীয় কিরণ পটল দ্বারা ক্রমেই পূৰ্ব্বদিগের তমে নষ্ট করিয়৷ পশ্চাৎ উদয় হইয়া থাকেন; তজপ ভারতবর্ষীয়দিগের সৌভাগ্যসূৰ্য্য দুর্দান্ত যবন জাতির শাসন-শৈলে টক্ৰ খাইয়। একেবারে বক্র হওত পশ্চিমদিগে অস্ত গমনপূৰ্ব্বক অধুনা ইয়োরোপাদি প্রদেশে মুখ স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করিতেছে বটে, কিন্তু পুনৰ্বার, সেই সৌভাগ্যস্থৰ্য্য অনতিবিলম্বে যে ভারতবর্ষে উদয় প্রাপ্ত হইবেক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মেন্ন উন্নতিদ্বারা তাহার পূর্বলক্ষণ দৃষ্ট হইতেছে । জগদীশ্বর যৎক্ষালে এই অবনি মগুলে প্রথমে মনুষ্যজাতির সৃষ্টি করেন তৎকালে তাহারা সকলেই লিম্পাগী ছিলেন ; একারণ বিনোপদেশে তৎকালে স্বভাবতঃ সকলের হৃদয়ে ব্রহ্মজ্ঞান ভsসমান হইত। কাল সহকারে বিষয়ভোগ-জনিত বিবিধ পাপবশ ভ মনুষ্যজাতির অন্তঃকরণ অত্যন্ত মলিন হইলে পর তাহারা প্রায় সকলেই আত্মৰুিস্মৃত হইলেন। তৎকালে যে সুমন্ত মুনি ঋষিগণ নিরন্তর নিজন প্রদেশে অী ত্নোপাসনায় তৎপর ছিলেন, তাহারামনুষ্যজাতির ঈদৃশ দুরবস্থা দর্শন করিয়া কারণবশতঃ তাহাদিগের অক্সিসিদ্ধির নিমিত্তে বিবিধ প্রকার জ্ঞানকfঞ্জীয় গ্রন্থ বিরচন করিলেন ; কিন্তু একমাত্র বিষয়ভৌগপ্রিয়ভ তাহাদিগের অধিংশ লোককে অাকর্ষণ করিয়া দুরবস্থা-নিরধির গভীর নীরে আনয়নপূর্বক একেবারে নিমগ্ন করিয়ারাখিপ; সুতরাং মুনিঋষি-প্রণীত সেই সমস্ত শাস্ত্রাদি তাহারদের সকলের পক্ষে উপকার জনক হইল না । এতাবত মনুষ্যগণের বিষ য়ভূেগে-প্রিয়তার প্রাজুভুবি দৃষ্টে পুনৰ্বার মুনিঋষিগণ তাহারদিগের স্বভাবনুসারে বিষয়ভোগের সহিত সনাতন ধৰ্ম্মচর্চীর সংশ্ৰব রাথিয় কল্পনাদ্ধার কতকগুলি দেবদেবীর মাহাত্ম্যস্থচক পুরাণাদি শাস্ত্র প্রণয়ণ করিলেন, যাক উপধৰ্ম্ম বলিয়। অদ্যপি ভারতবর্ষে দেদীপ্যমান রহিয়াঁছে। সেই সমস্ত পুরাণাদি শাস্তেৱ স্থানেই যে সত্যধৰ্ম্ম প্রকাশিত অাছে তৎপ্রতি অধিকাংশ লোকের অনুরাগ ও বিশ্বাস নাই, ইহাৱা,অণমোদমিশ্রিত উপশ্বৰ্ম্মের উপসনা করিয়াই আপনাদিগকে চরিতার্থ বোধ করেন। ফলত উগধর্মের উপাসনা করিতেই সভ্যন্ধৰ্ম্মের আশ্রয় প্রাপ্ত হইবেক, এতদভিপ্রায়ে মুনিঋষিগণ যদ্যপি উপথৰ্ম্মের,স্কৃষ্টি কুরিয়াথাকেনু তবে তাহ সমগ্রুপে মুসিদ্ধ হয় নাই এবং হুইবারও সম্ভাবনা নাই। কেননা বালককালে যাহার চিত্তক্ষেরে যে খৰ্ম্মের বীজ রোপি চ’হৰ বয়ঃপরিণtমে' সেই ধৰ্ম্ম একেবারে বদ্ধমুল হইয়া গৈলে তাহীকে" উৎপাটন পুর্বক সত্যশ্বৰ্ম্মের বীজ রোপণ করিয়। তাহার ফলেtৎপাদন করা