পাতা:পরমার্থ-জ্ঞানরত্নাকর.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YᎭ উত্তরগীত । শ্ৰীভগবান কহিতেছে । হে অৰ্জ্জন ! এই আকাশ অবকাশস্বরূপ অর্থাৎ শূন্তস্বভাৰ, কিন্তু এই অবকাশস্বরূপে এমত কোন অদৃশ্য গদার্থ আছে যাহতে শব্দ গুণ অনুমিত হয়, যেহেতুক শূন্তপদার্থের শব্দগুণ থাকু অসম্ভব, ফলতঃ সেই অদৃশ্য পদার্থকেই আকাশ কহ যায়; কেননা আকাশের কায্য বায়ুণ্ডে কেবল শব্দ এ স্পর্শ এই দুইটি গুণ থাকিলেও যখন বায়ুর রূগ নাই তখন তৎকারণ আকাশেরও যে রূপ নাই 'ইঙ্ক বলা বাহুল্য মাত্র । অতএব সেই অদৃশ্য আকাশের কেবল শব্দমাত্র একগুণ কিন্তু যিনি শব্দরহিত সৰ্ব্বব্যাপি পদার্থ অর্থাৎ যাহাতে এই আকাশ ও বায়বাদি সমুদায় ভূত, ভৌতিক গদার্থ অবস্থিতি করিতেছে তিনিই ব্রহ্ম বলিয়া কথিত হয়েন । ইতিপ্লেণকাথ । হে অৰ্জ্জুন! যদি তুমি সেই সৰ্ব্বব্যাপি ব্ৰহ্মপদার্থের সন্তু৷ চৰ্ম্মচক্ষুদ্বারা দশর্ন করিডে অভিলাষী হও তৰে মনোযোগ পূর্বক আমার বাক্য শ্রবণ কর । যদি বল নিরাকার সর্বব্যাগি অথচ বাক্য মনের অগোচর ষে ব্ৰহ্মপদার্থ ওঁহিীকে চৰ্ম্মচক্ষুদ্বর্ণর। যে দশন করিতে পারা যায় এতক্রণ বাক্য বেদরিরুদ্ধ হয় । তাহার উত্তর এই যে আমিই স্বয়ঞ্চ বেদম্বরূপ ; বিশেষতঃ বেদাঙ্গ শাস্তুসমূহে তিনি স্বপ্রকাশ বলিয়। কথিত আছেন, অতএব যিনি স্বপ্রকাশ ও র্যাহার প্রকাশদ্বারা এই অখিল ব্ৰহ্মাণ্ড প্রকাশ গাইতেছে তাহাকে যে চৰ্ম্মচক্ষুদ্বারা দশন করিতে পারা যায় না বরং এতদ্রুপ বাক্যই বেদবিরুদ্ধ হয় ; অতএব তুমি স্থিরচিত্তে আমার বাক্যের তাৎপৰ্য্য অবধারণ করিয়৷ সেই নিরাকার নিৰ্ব্বিশেষ ব্ৰহ্মপদার্থের সন্তু দশন কর। ফলতঃ তাহার স্বরূপ বাক্য মনের অগোচর বটে। হে অৰ্জ্জন ! তুমি এবং আমি উভয়ে উপবেশন করিয়া আছি, কিন্তু আমারদিগের উভয়ের মধ্যে যে শৃষ্ঠস্বরূপ স্থান আছে তন্মধ্যে তুমি কি দশন করিতেছ? যদি বল ইহার মধ্যে কিছুই নাই হে কুৰ্জ্জন ! তুমি এমত কথা বলিও না, যেহেতুক এই শূন্ত স্থানের মধ্যে অদৃশ্যজাকাশ এবং বায়ু ও মৃত্তিক জলদির স্বন্ধু পরমাণু আছে, ফলতঃ তাহ আমাদিগের দৃষ্ট হইতেছে না, কিন্তু যাহা দৃষ্ট হই তেছে সেই স্বপ্রকাশস্বরূপ শূন্ধের সম্ভাকেই তুমি ব্ৰহ্ম বলিয়া অবধারণ কর। ইহাতেও যদি তুমি এমত অপত্তি কর যে ইহার মধ্যে শূন্যব্যতীত অপরকিছু মাত্র দৃষ্ট হইতেছে না তবে পুনৰ্বার প্রকারান্তরে কহিতেছি প্রবণ কর । শূন্ত শব্দের অর্থ অভাব অর্থাৎ কিছুই নহে, কিন্তু যাহ। কিছুই নহে তাই মনুষ্যের দৃষ্ট হইবে কেন ? বিশেষতঃ এই পুণ্যভূমি ভাৱতবৰ্ষমধ্যে কিছুই নয় বলিয়৷ অতি প্রাচীন কালাবধি নরৰিষণি শশবিষাণ খপুষ্প ও ঘোটকাণ্ড প্রভূতি কতকগুলি সত্ত্বাহীন পদার্থের নাম প্রচলিত আছে, বাস্তৰিক ঐ পদার্থ সমুহের সঃ। নাই বঞ্চিয় কস্মিনকালে কেহ তাছা দর্শন করিতে পারেন নাই দর্শন