পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-Qや वलब्रिकांख्धभ Pख्विभ* । “যে পথটি করিয়া দিয়াছেন, তজ্জন্য সমগ্ৰ হিন্দু সমাজের চিরকৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যোশীমঠ হইতে ছাগল-ভেড়া দ্বারা বদরী পৰ্য্যন্ত মাল চালান হইয়া থাকে । কিয়দ্দূর গিয়া আমাদের গােমস্তাঠাকুর অলকানন্দার দুই দিকে দুই খাড়া পাহাড় দেখাইয়া বলিলেন, এই দুই পৰ্ব্বত কলির প্রকোপের সময় জোড়া লাগিয়া যাইবে, তখন বন্দরীর পথ বন্ধ হইবে । মাইলখানেক আরও গিয়া একটা লোহার পুল পার হইলাম--তথা হইতে ৩ মাইল ঘাট চটি এবং তৎপর আরও ২৷ মাইল চলিয়া পাণ্ডুকেশ্বর পৌছিলাম । পাণ্ডুকেশ্বর চটি বেশ বড়-অনেকগুলি দোকান আছে; স্থানটি অলকানন্দার তীরে, কতকটা সমতলের ন্যায়। পাণ্ডুকেশ্বরে দুইটি মন্দির পাশাপাশি আছে-একটিতে যোগবন্দরীর মুক্তি, অপরটিতে ঠিক সেই মুক্তি, কেবল উপরের দক্ষিণ ও বাম হস্তদ্বয়ে ধৃত শঙ্খচক্ৰ, চক্ৰ-শঙ্খ পর্যায়ে ধৃত আছে। মন্দিরের পূজক যখন যোগবন্দরী দেখান, তখন তিনি বলিয়াছিলেন যে, এই মুক্তি বদরীনাথের মুক্তির অবিকল সদৃশ। আমি লক্ষা করিলাম যে দেবপ্রয়াগে দৃষ্ট বন্দরীর ছবিতে শঙ্খ চক্রের পরিবর্তে শঙ্খ পদ্ম ছিল। এখানে কোনও কিছু না বলিয়া যখন নন্দ প্ৰয়াগে পণ্ডিত মহেশানন্দ শৰ্ম্মার সঙ্গে চিত্রাদির সম্বন্ধে আলাপ হয়, তখন আমি শঙ্খ-পদ্মের কথা পাড়ি । মহেশানন্দ তৎপ্ৰকাশিত চিত্রের এই ভুল স্বীকার করিয়া বলেন যে, তঁাকার ডিজাইনে শঙ্খ-চক্র ছিল-ইউরোপীয় চিত্রকর চক্রটাকে ভ্ৰমে পদ্ম করিয়া ফেলিয়াছে-ভবিষ্যতে এই জটি সংশোধিত হইবে ! এ স্থানে বলা আবশ্যক যে, বদরীনাথের মন্দিরে যখন শ্ৰীমুক্তি দেখি, তখন হাতে বে কিছু আছে, তাহা স্পষ্ট দেখিতে পারি নাই ; প্ৰকোষ্ঠে যথেষ্ট আলোকাভাব অথচ নিকটে গিয়া দেখার রীতি নাই ।