পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 পরশুরাম কুণ্ড । কুণ্ডের তিন দিকে উচ্চ পাহাড় কেবল পূর্বোত্তর কোণে লৌহিত্য ব্ৰহ্মপুত্রের সলিল প্ৰবাহ । লোহিত্য এই স্থানে পর্বত হইতে অবতরণ করিয়া পরশুরাম কুণ্ডের জলে অভূক্ষিত হইয়া “ব্ৰহ্মপুত্র” এই সংজ্ঞা ধারণ পূৰ্ব্বক খরবেগে প্রবাহিত হইয়াছে। পরশুরামকুণ্ডকে কেহ কেচা “ব্ৰহ্মকুণ্ড” বলে কিন্তু ইহা ঠিক নয়। ব্ৰহ্মকুণ্ড যে কোথায় তাত কেহ বলিতে পারে না। তাই ভগবান পরশুরাম স্বীয় কুঠার দ্বারা পৰ্ব্বত গাত্রে দুইটি ছিদ্র করিয়া ব্ৰহ্ম কুণ্ডের জল পাতিত করিয়া “পরশুরামকুণ্ডের” সৃষ্টি করিয়াছেন। লৌহিত্য আসিয়া পরশুরামকুণ্ডাস্থিত ব্ৰহ্মকুণ্ডের জল গ্ৰহণ করিয়া ব্ৰহ্মপুত্র নামে পরিচিত হইয়াছে। কুণ্ডের জল ব্ৰহ্মপুত্রের জলের ন্যায় নীলাভ । ইহার ব্যাস ৪০-৫০ হাত আন্দাজ হইবে। কুণ্ডে পতিত ব্ৰহ্মকুণ্ডের সলিল ধারা ৪ হাত অন্তর দুইটি ছিদ্র হইতে উদগত হইয় ৭ হাত ব্যবধানে গিয়া সম্মিলিত হইয়াছে ; তৎপর সেই মিলিত ধারা ৩০ ভাত পরিমাণ BBDBBD DBDDD B DBDBDBBD DDB KKB DBDD DBD S SDS DDBD BBBD গিয়া ৩৪ হাত উপর হইতে ত্ৰিধারায় কুণ্ডে পতিত হইয়াছে। এই জলধারা প্ৰস্থে দুই হাতের বেশী কুত্ৰাপি হইবে না- গভীরতাও খুব কম। কুণ্ডের জল অতি শীতল, লোকে কুণ্ডে অবগাহন করিয়া প্রস্রবণ ধারার নীচে শরীর স্থাপন করে, তাহাতে ঐ জল কিঞ্চিৎ উষ্ণ বোধ হয় । তাই কেহ কেহ ব্ৰহ্মকুণ্ডের জলধারাটিকে উষ্ণ-প্ৰস্ৰবণ মনে করে । বস্তুতঃ এই জলের তাপ স্বাভাবিক,-স্পর্শ করিলে কোনও উষ্ণতা অনুভূত হয় না। কুণ্ডের অতি শীতল জল স্পশে আড়ষ্ট শরীরে ইহার স্পর্শ অতি আরাম জনক এবং তুলনায় কবোঞ্চ বোধ হয়।