পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রেম পরিভ্রমণ । Σ (.. গ্ৰহণ করিলাম । দোতালা একটা পাক ঘরের উপরের তলায় আমাদের জায়গা কইল । ডাক্তারবাবু কিঞ্চিৎ দুগ্ধ ও মিঠাই, থাইলেন। আমি গোমস্তার সাহায্যে কিছু অন্ন পাক করিয়া খাইলাম। খুব ভোরে উঠিয়া সৰ্ব্বাগ্ৰে কাষ্ট্রীওয়ালাকে বিদায় দিয়া পশ্চাৎ প্ৰাতঃকুতা সারিয়া পথ চলিতে লাগিলাম । এইদিন রাস্তায় মন্থরগামী যাত্রী "অনেককে পথে অতিক্ৰম করিয়া যাইতে লাগিলাম । দুই দল মাত্রী পরস্পর দেখা হইলে-বিশেষতঃ কাহাকে ও ক্লান্তিযক্তি দেখিলেই-- “জয় বন্দরী বিশাল লালাকি জয়” “জয় কেদারনাথ স্বামীকি জয়” “জয় গরুড় ভগবান কি জয়” বলিয়া জয়ধ্বনি উত্থিত হয়। বাস্তবিক ইহাতে মনে বল ভরসা আসে। আবার যখন দেখিলাম, ববীয়সী স্ত্রীলোকেরা মাথায় ১০|১৫ সেরা মোট লইয়। ধীরে ধীরে পথ চলিতেছে, সুখন দেখিলাম, কোন ও কোনও যুবতী শিশুটিকে কোলে বাধিয়া চলিয়াছে—শিশু কাদিলেই পথ প্ৰান্তে উপবিষ্ট হইয়া স্তন্য পান করাই তেছে---যখন দেখিলাম, পাতাদি রোগ পীড়িত ব্যক্তি ও বেদনায় অস্ফুটধ্বনি কবিতে করিতে অস্তে আস্তে গমন করিতেছে--- এমন কি দুই একটি অন্ধ ও অপরের হাত ধরিয়া চলিতেছে, তখন মনে হইল, “যদি ইহার বন্দরনাথের দর্শন শাভ করিতে সমর্থ হয়, তবে সবল সুস্তকায় আমরা কি তাহার রূপান্ন নির্বিঘ্নে তদীয় পদপ্রান্তে পৌছিতে পারিব না ?” প্ৰায় সকল যাত্রীরই পায়ে জুতা আছে কিন্তু মাথায় ছাতা অতি কম মাত্রীরই দেখিলাম। সংস্কৃতে একটা শ্লোক আছে, ‘রবির খরকিরণ সহ্য হয়, সূৰ্য্যাতপতপ্ত ধূলি নিতান্তই অসহ।’ কিয়দ্দূর পথ চলিবার পর আমার জুতার সেলাই টুটিয়া গেল, অতএব কিয়ৎক্ষণ আমাকে নগ্নপদে চলিয়া ধূলি কঙ্করাদি-সংস্কুল আতপতপ্ত পথের কিঞ্চিৎ পরিচয় পাইতে । হইয়াছিল। অনাগতবিধাতা ডাক্তারবাবু এই জন্য ২১ যোড়া অতিরিক্ত