পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ । ଧ୍ବନ୍ଧ করিয়া পাণ্ডাকে দিতে হয় । কিন্তু গোমস্তাই প্ৰায়শঃ ইহা আত্মসাৎ করেন । গুপ্ত কাশী একটি ক্ষুদ্র সহরের ন্যায় স্থান। এখানে একটী পোষ্ট আফিস আছে। ইহার উপর কেদারের পথে আর পোষ্ট আফিস নাই তাই কেদারনাথ নিবাসী কাহারও নামের চিঠিপত্র এই স্থান হইতেই পিয়ন প্ৰায় ৩০ মাইল গিয়া বিলি করিয়া পাকে । গুপ্তকাশী হইতে বারাণসীতে একখানি চিঠি দিয়াছিলাম। উহা ১০ ই জ্যৈষ্ঠ (অর্থাৎ ষষ্ঠ দিনে ) তথায় পৌঁছিয়াছিল । এখানে ননদ প্ৰয়াগের শ্ৰীসূত মহেশানন্দ শৰ্ম্ম প্ৰকাশিত কেদারবন্দরী বিষয়ক নানা গ্ৰন্থ, চিত্র ও মান চিত্ৰ বিক্রয়ার্থ একটি দোকান আছে—আমরা কিছু চিত্র এবং একখানি মাহাত্ম্য গ্ৰন্থ কিনিয়া নিলাম । এই দিন একাদশী ছিল--অথচ গুপ্ত কাশীতে এক রাত্রি অবস্থান করিবার কথা ও ছিল। কিন্তু অনিচ্ছাসত্ত্বেও দুইটি কারণে এই স্থান ছাড়িতে হইল-এক মাছির প্রবল উপদ্রব-অপর যাত্রীর ভয়ানক ভিড় । এ স্থানে রৌদ্রের তেজ তেমন খরতার বোধ হইল না-তাই তিনটা বাজিতে না বাজিতেই বাতির হইয়া পড়িলাম। গুপ্তকাশী হইতে ১ মাইল ব্যবধানে নালা চটি । এস্থান হইতে এক রাস্তা উমীমঠ গিয়াছে, আর এক রাস্তা কেদারনাথ অভিমুখে চলিয়াছে। আমরা কেদারের রাস্তা ধরিয়া চলিলাম-কেদারের ফেরত যান্ত্ৰিগণের অর্থাৎ কেদারনাথ দশন করিয়া যাহারা বদরী অভিমুখে যাইতেছে তাহাদের সঙ্গে এখন হইতে দেখা হইতে লাগিল । পরস্পর কাছে আসিলেই “জয় বদরী বিশাললালকি জয়” “জয় কেদারনাথ স্বামীকি জয়” বলিয়া অভ্যর্থনা করিতে হইত । নালা চটি হইতে নারায়ণ চটি দুই মাইল-এখানেও ২১টি দেবমন্দির দেখিলাম। নারায়ণ চর্টি হইতে আরও দুই মাইল উৎরাই নামিয় বেবেঙ্গ