পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮১

S)N) বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ । সূক্ষ্মাগ্র এক প্ৰকাণ্ড প্রস্তর ; উত্তর দক্ষিণে লম্বা প্ৰায় ৪৫ তাত ; পূর্বপশ্চিমে মধ্য ভাগের বেধ প্ৰায় ১ হাত হইবে । চারিদিক বঁাধান, উভয় দিকে একটি নালা কাটা আছে । ভিতরে ভিড় হইলে ও যাত্রীরা সকলেই কেদারের অচ্চন স্বহস্তে সম্পাদনা করিতে পারে। এখানে লেপটি উপহার দিতে হয়। আমরা এক খণ্ড নূতন কাপড় তদৰ্থ আনিয়াছিলাম। সুত দিয়া মহাদেবের গ{াত্র লেপন করিয়া যাত্রীরা সৰ্ব্বশৰীীর দ্বারা মহাদেবকে আলিঙ্গন করিয়া থাকে । মাত্ৰিগণ প্ৰাণ ভরিয়া দর্শন স্পশন পুজন মাৰ্জন ও আলিঙ্গন করিয়া মন্দির মধ্যেই প্ৰদক্ষিণ করিয়া থাকে । তবে এই সকল কাজ সত্বর সারিতে হয় এবং এক সঙ্গে অনেককে করিতে হয় । কেদারে বিলুপত্ৰ চড়াইতে হইলে পূব্ব চাইতেই সংগ্ৰহ করিয়া উহ। আনিতে হয় । কেদারে ৪০ মাইলের ভিতর কোন ও বেলগাছ দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় ন; ! কেদরের মাত্ৰিগণ আনন্তের মত তামার বা লোহার বলয় গুপ্তকাশী প্ৰভৃতি স্থান ঠাইতে কিনিয়া আনিয়া, উতা কেদারের গাত্ৰে স্পশ করাইয়া ধারণা করিয়া থাকে । কেদারের মন্দিরের সম্মুখের ( দক্ষিণের ৷ খণ্ডে-"অর্থাৎ জগমোহনে অনেক দেবতা আছেন ! আবার মন্দিরের আশে পাশে ও অনেক দেবস্তান আছে । অমৃতকুণ্ড উদক কু ণ্ড হংসাকু ণ্ড ও রেতঃকু ণ্ড আছে। ঐ গুলিতে অন্ততঃ মাৰ্জন করিতে হয় । উদক কুণ্ডে বহুবার নানা রকমে আচমন করিতে হয় । এইরূপে দর্শনাদি সমাপন করিয়া তীর্থে অবশ্য কৰ্ত্তব্য ব্ৰাহ্মণ ও সন্ন্যাসী ভোজন করান হইল। হালুইকরের দোকান হইতে খাদ্যদ্রব্য সন্দেশ পুরী মায় তারকারী কিনিতে চাইল । জনপ্ৰতি ॥০, ॥oy ০ করিয়া ব্যয় লাগিল। আমরা তৎপর রন্ধন , পূর্বক আচার করিলাম। সন্ধ্যার সময় কেদারের আরতি দেখিলাম । বেশ আড়ম্বর নাই । বড় শীত । ঘরে আগুন না জালিয়া থাকা যায় না । অথচ কাষ্ঠ