পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 বদরিকাশ্রম পরিভ্ৰমণ । সময় এখানে দশন করিতে গেলাম । প্ৰধান মন্দিরে-ওকারিনাথ মহা । দেবের লিঙ্গমৃত্তি, তাহার পশ্চাতে মান্ধান্ত মহারাজের প্রতিমূত্তি। এই স্থানে নাকি মান্ধাতা ও তপস্যা করিয়া সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন। এই মন্দির সম্মুখের খণ্ডে কেদারনাথ প্রভৃতি অনেকের মুক্তি বিরাজমান। মন্দিরের সংলগ্ন অপর এক দালানেও অনেক দেবদেবী আছেন—একটা ঘরে পঞ্চপাণ্ডব এবং দ্রৌপদীর মুক্তি বৰ্ত্তমান । এই ঘরের এক প্রকোষ্ঠে কেদারনাথের গদী আছে—এখানে কেদারের এক মুক্তি আছেন, শীতের ছয়মাসকাল কেদারের পূজা ইনিই গ্ৰহণ করেন। অন্যদিকের এক বড় প্ৰকোছে অনেক গুলি শিবলিঙ্গ দেখিলাম । এই প্ৰকোষ্ঠের পাশে এক ক্ষুদ্রতর কুঠরীতে অনিরুদ্ধ, উষা, কৃষ্ণ, বলরাম, প্ৰত্নাম্ন, চিত্ৰলেখা প্ৰভৃতির মুক্তি দেখিলাম । অষ্টাদশদিন শুক্রবার ১৩ই জ্যৈষ্ঠ-~~ বৃষ্টিতে ভিজা । প্ৰাতঃকালে পুনৰ্ব্বার দেবমন্দির ও দেবতা দিগকে ভাল করিয়া দেখিয়া লাইলাম ! একখানি চিঠি কাশীর ঠিকানায় লিখিলাম-৫ম দিনে, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ উচা তিপায় পৌছিয়াছিল। উষীমঠ হইতে লালসাঙ্গা ( ওরফে চমেলি ) ২৫ মাইল-ঐখানে হরিদ্বার-বন্দরীর পথ পাওয়া যাইবে । আমরা বাহির হইয়া কিয়ন্দর গেলেই শোণিতপুর উত্তর-পশ্চিম দিকে দৃষ্ট কইল। এতদ্বিসয়ে পূর্বেই আলোচনা করিয়াছি। মাইল তিনেক চলিয়া গণেশ চটি এবং তথা হইতে প্ৰায় এক মাইল