পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রেম পরিভ্ৰমণ । s অনীমঠ পাওয়া যায়, তাহাতে পঞ্চবন্দরীর অন্যতম বৃদ্ধিবন্দরী अभदछि ऊ । পেনী চটি হইতে প্ৰায় ৩ মাইল আন্দাজ গিয়া একটি ক্ষুদ্র চটি পাওয়া যায়-তােহা হইতে একটি রাস্তা নীচের দিকে বিষ্ণুপ্ৰয়াগে গিয়াছে, অপরটি রাজপথ যোশীমঠের দিকে গিয়াছে। তখন প্ৰায় সন্ধা হয় হয় হইয়াছে, আমরা সেখানে অবস্থান না করিয়া জোশীমঠের দিকে চলিয়া গেলাম । কেন না, আমাদের সঙ্কল্প ঐ মাঠে রাত্রিযাপন করিতে হইবে । সূৰ্য্যাস্তের অব্যবহিত পরেই আমরা মঠে পৌছিলাম । সেই রাস্তাটি নীতিপাসের দিকে গিয়াছে—সাধু-সন্ন্যাসীরা এই পথে তিব্বতে গিয়া মানস-সরোবর, কৈলাশ পৰ্ব্বত ইত্যাদি দর্শন করিয়া থাকেন । ভবিষ্য-বদরী ও এই নীতির পথে গিয়া দর্শন করিতে হয় । কলির প্রাবলো নরনারায়ণ নামক অলকানন্দার দুই পাশের পর্বতদ্বয় সংযুক্ত হইয়া যখন বন্দরীনাথের পথ বদ্ধ হইয়া যাইবে, তখন এই ভবিষ্য-বন্দরীই নাকি তৎস্থলাভিষিক্ত হইবেন । যোশীমঠ বা জ্যোতির্মঠ ভগবান শঙ্করাচার্যের স্থাপিত। তিনি ভারতবর্ষের চারি প্রান্তে চারি ধামে তদীয় কীৰ্ত্তি মন্দিরের স্তম্ভ স্বরূপ চারিটি মঠ স্থাপিত করিয়া পৃষ্ঠাতার সৃষ্ট দশনামী সন্ন্যাসীদের বিভাগ করিয়া দিয়া যান। উত্তরে বদরিকার জ্যোতির্মঠ, পশ্চিমে দ্বারকার সারদামঠ, দক্ষিণে সেতুবন্ধে শৃঙ্গগিরিমঠ, এবং পূৰ্ব্বে জগন্নাথপুরীতে গোবৰ্দ্ধনমঠ ংস্থাপিত হয়। কিন্তু হায়, জোতির্মঠ এবং বদরিকাশ্রমের কর্তৃত্ব এখন আর শঙ্করাচাৰ্যোরা প্ৰবৰ্ত্তিত সন্ন্যাসি-সম্প্রদায়ের হস্তে নাই । বৰ্ত্তমান অধিকারী রাওল সাহেব সম্বন্ধে পূর্বেই সবিশেষ বিবৃত হইয়াছে। যোশীমঠে ডাকঘর, টেলিগ্ৰাফ আফিস এবং ভাল দোকানপাট আছে । আমরা রাত্রি যাপনার্থ একটি দোকানের উপরতলায় বাসা লইলাম ।