পাতা:পরশ-পাথর - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশ-পাথর বাবা বলিলেন, “দিদি, তুমি ওসব কিছু ভেব না। এখন বহু, আজ রাত্রের গাড়ীতে কলকাতায় যাবে কি না ?” পিসিমা বলিলেন, “তোর হাতমুখ ধো, ঠাণ্ড হ, কিছু খা, তার পর সে কথা হবে, সারাদিনই পড়ে আছে। বাবা, কাপড়চোপড় ছেড়ে ফেল গে। ও শ্যামা, ওরে এদিকে আয় । সুরেশ ত কখন গাঁয়ে আসে নি, ওকে সব দেখিয়ে শুনিয়ে দে।” আমি বলিলাম, “পিসিমা, তুমি শুয়ে পড়, আমরা সব ক’রে কৰ্ম্মে নিচ্ছি।” পিসিমা হাসিয়া বলিলেন, “এতটুকু ছেলের কথা শোন, গ উনি সব করে-কৰ্ম্মে নেবেন। আরে, তোর বাপিও যে এখনও সব ক’রে-কৰ্ম্মে নিতে শেখেনি, আর তুই শিখে নিয়েছিস।” বাবা বলিলেন “দিদি, ওরা আজকালকার ছেলে, একটু 5 বেশী ; আর ওদের ত তোমার মত দিদির হাতে মানুষ হবার সুবিধে হয় নি যে একেবারে হাত পা ছেড়ে দিয়ে বসে থাকবে। এখন তুমি একটু শুয়ে পড়, আমরা বাহিরে যাই। চল সুরেশ !” এই বলিয়া বাবা বাহিরে গেলেন, আমিও তাহার সঙ্গে সঙ্গে গেলাম । R