পাতা:পরশ-পাথর - জলধর সেন.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বলিলাম, “রামচরণ দাদা, সুধু তোমাকে যেতে হবে না ; আমার ইচ্ছা করছে। আমিও ষ্টেশনে গিয়ে দেবীবরণ করে নিয়ে আসি। কিন্তু, তা ত সম্ভব হবে না। দেখ, এক কাজ কর, জহিরদীকে এখনই পালকীওয়ালাদের ওখানে পাঠিয়ে দেও ; তাদের যেন বলে আসে যে, তারা ভোরে এখানে আসবে; এখান থেকে সুরেশ, মণি আর রাণীকে নিয়ে ষ্টেশনে যেতে হবে ; তারপর আসবার সময় চারখানা পালকীতে কোন রকমে সবাইকে নিয়ে আসবে।” রামচরণদাদা বলিল, “তোমার এ মত কেন হোলো দিদি ৷” আমি বলিলাম, “কোন হোলো, তা মুখে বলবার শক্তি আমার নেই। এই চিঠিখানা পড়ে দেখ।” এই বলিয়া অণিমার চিঠিখানি রামচরণদাদার হাতে দিলাম। বারান্দার একপার্থে একটা হারিকেন লণ্ঠন জলিতেছিল ; রামচরণ দাদা সেই আলোটা আরও একটু উজ্জ্বল করিয়া দিয়া বিনা চুসমাতেই অণিমার পত্ৰখানি পড়িল। পড়া শেষ করিয়া পত্ৰখানি মাথায় স্পর্শ করিল, তাহার পর নতজানু হইয়া প্ৰণাম করিল। আমি বেশ বুঝিতে পারিলাম, বৃদ্ধ তাহার জাতৃবধুর দেবীত্বের নিকট মস্তক অবনত করিল। তাহার NGO