পাতা:পরশ-পাথর - জলধর সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশ-পাথর বেঁচে থাকুক। বছর কয়েক পরে মেয়েটিকে সৎপাত্রে দান করি, ছেলেদের লেখাপড়া শিখিয়ে বীে ঘরে আনি ; সংসারযাত্ৰ নিৰ্বাহ করি।” পুরোহিত মহাশয় বলিলেন, “তুমি যা বললে তা ঠিক ; কিন্তু দেখ, লোকে প্ৰথম স্ত্রী বিয়োগ হলে যা মনে ভাবে তা ঠিক নয় ; কিছু দিন গেলে সে মত প্রায়ই বদলে যায়। তখন লোকে অন্য রকম ভাবে । স্ত্রী না থাকলে বাবা, সংসারে বন্ধন থাকে না । ছেলে বল, মেয়ে বল, স্ত্রীর সমান কেহ। নয়। রোগে শোকে স্ত্রী যা করবে, অন্যে তা কিছুতেই করতে পারে না। তুমি এখন শোকে অধীর হয়ে ঠিক বিবেচনা করতে পারছেন । কিন্তু একটু ভেবে দেখিও । আমি এখনই তোমার উত্তর চাই না । আমি আর একদিন আসব ; সেইদিন শুনিব।” বাবা “যে আজ্ঞা” বলিয়া পুরোহিত মহাশয়ের পদধূলি গ্ৰহণ করিলেন । বাবাকে আবার বিবাহ করিতে লোকে উপদেশ দিতেছেন শুনিয়া আমার প্রাণের মধ্যে যেন কেমন করিয়া উঠিল। আমি চুপে চুপে বারান্দা হইতে নামিয়া বাগানের মধ্যে চলিয়া গেলাম । (N)