পাতা:পরশ-পাথর - জলধর সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশ-পাথর না অণিমা, আমি যে সব পাশকরা মেয়ের সংসর্গে এতদিন এসেছি, তাদের দেখেই আমার এই ধারণা হয়েছিল।” এই বলেই আমি সেই সব উৎকৃষ্ট জলখাবারে মনোনিবেশ করলাম। : “বাৰু, এ কচুরী যে একেবারে ফাষ্ট ক্লাস হয়েছে” বলতেই অণিমা বলল, “আর দুখান এনে দেব ?” আমি হো হাে করে হেসে বললাম, “অরুণ, দেখলে, হাজার বি-এ, এম-এ হ’লেও আসল মানুষ ঠিক থাকে। দেখনি, মেয়েরা কিছু রান্না করলে, যদি তুমি কোনটার প্রশংসা করলে, অমনি সেটা থালা শুদ্ধ তোমার পাতে হাজির। তোমার অণিমাও সেটুকু কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। না, না, আর আমি খেতে পারব না, “অধিক অমৃত খাইলে পীড়া হয়” বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়ে পড়নি। অরুণ, আজ তিন চার মাস আমার যে কি ভাবে গেছে, সে খবর তুমি নিশ্চয়ই ইন্দুর কাছে পেয়েছ। দিন আর কাটত না ভাই ! আজি অনেক দিন পরে তোমাদের পেয়ে আমি যেন একটু সজীবতা অনুভব করছি ; একটা প্ৰফুল্লতার হাওয়া যেন আমার গায়ে লাগৃছে।” অরুণ বলল, “তা হলেই ভাল। আপনি যখন খবর দিলেন যে, যমুনাদাসবাবুর আপীলের মামলা করতে আসছেন, SNO)