পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হ’তই। এই সারাদিন খেটে খুটে ঘরে এলাম, কোথায় একটু সোয়াস্তি করব, তা নয়। এই সব।” । তাহার স্ত্রী বলিল, “এই সব কি তা’ ত বুঝলাম না।” জমির তখন আরও রাগিয়া উঠিল, বলিল, “কি, মুখের উপর জবাব ! এত বড় গোস্তাকি ৷” জমিরের স্ত্রী আর কথা বলিল না, চুপ করিয়া সেই স্থানে বসিয়া পড়িল। কথা বলিলেও গোস্তাকি, চুপ করিয়া থাকিলেও গোস্তাকি ! এ রকম বদমেজাজি লোকের সঙ্গে কে পারিয়া উঠে ? জমির বলিল, “চুপ ক’রে রইলে যে ?” তাহার স্ত্রী কোন উল্লুর করিল না। তখন জমির বলিল “হারু পরামাণিক ত তোমার ছেলেকে রাখবে না। অমন চোরের ব্যাটা চোরকে কে ভাত কাপড় দিয়ে পুষিবে ?” 静 পুত্রের উপর এ অবিচার মায়ের প্রাণে বড়ই বাজিল ; সে মনে করিয়াছিল কোন কথারই উত্তর দিবে না ; কিন্তু যখন তাহাকে উত্তর দিতেই হইবে, তখন সে অতি ধীরস্বরে বলিল, “আলি কোন দিন / চুরী করে নাই।” জমির গৰ্জিয়া উঠিয়া বলিল, “চুরী করে নাই-সাধুর বেটা সাধু। বেজন্মা ছেলে আবার কত ভাল হবে ?” ক্রুদ্ধা সিংহী গৰ্জিয়া छैछैिठा - জমিরের স্ত্রী বসিয়া ছিল, উঠিয়া-দাড়াইল, ঘাড় বাকাইয়া তীব্রস্বরে বলিল, “কি বলিলে ? খবরদার আমন কথা আর মুখে এন না, সাবধান ক’রে দিচ্ছি। কি ব’লব তোমাকে, আল্লার নাম নিয়ে নিকে করেছি, নইলে আর কেউ এ কথা বল্লে এতক্ষণ এই বাঁ-পায়ের লাথি দিয়ে তার মুখ ভেঙ্গে দিতাম।” জমিরের স্ত্রী আর সেখানে দাঁড়াইল না ; দ্রুতগতিতে বাড়ীর বাহিরে চলিয়া গেল। জমির স্থা করিয়া বসিয়া রহিল। তাহার げ。