পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই মূৰ্ত্তি দেখিয়া-সেই সতীত্বের গর্ব, নারীত্বের অপূর্ব বিকাশ দেখিয়া সে একেবারে এতটুকু হইয়া গিয়াছিল; তাহার কথা বলিবার শক্তি অপহৃত হইয়াছিল। বাহিরে তখন ঘোর অন্ধকার ; আকাশে দুই দশটা তারা ফুটিয়া রহিয়াছে; সমস্ত গ্রামটা যেন ঝমােঝম করিতেছে ; নিকটের জঙ্গলের বিবি পোকার স্বর সেই ঘনান্ধকার রজনীর নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিতেছিল। জমির বসিয়া ভাবিতে লাগিল, তাহার স্ত্রী কোথায় চলিয়া গেল ? এই অন্ধকার রাত্রিতে বাড়ীর বাহির হইয়া সে ত পুকুরে আত্মহত্যা করিতে দুৰ্গলি না ? তাহার মনে তখন ভয়ের সঞ্চার হইল। সে উঠতে চেষ্টা করিল, কিন্তু কি ভাবিয়া আবার বসিয়া পড়িল । একটু পরেই জমিরের স্ত্রী বাড়ী ফিরিয়া আসিল। জমির তখন ধীরভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “এই আধার রাত্তিরে কোথায় গিয়েছিলে ?” তাহার স্ত্রী সে কথার উত্তর দিল না । জমির মনে করিল। তাহার স্ত্রী বোধ হয় প্রশ্নটা শুনিতে পায় নাই ; তাই সে পুনরায় বলিল, “এমন ਬ রাত্তিরে কোথায় গিয়েছিলে ?” তাহার স্ত্রী উত্তর করিল, “কোথাও যাই নাই ; কোথায় যাব, তাই বাইরে গিয়ে গাছতলায় বসে ভাবছিলাম।” জমির একটু সাহস পাইল ; সে বলিল, “তবে এখনও রাগ যায় नाझे ?” তাহার স্ত্রী ক্রুদ্ধ-স্বরে বলিল, “তুমি আজ যে কথা বলেছি, তাতে যে রাগ ক’রবে না, তাকে আমি মেয়েমানুষই বলি না। শোন, তখন রাগ বেশী হয়েছিল, তাই কি বলতে কি বলব মনে করে তােমার সুমুখ থেকে চ’লে গিয়েছিলাম। এখন আমার কথা শোন, ‘তুমি আমাকে যে কথা বলেছি, তারপর আর তোমার ঘরে থাকা আমার চলে না। আমি ם ס