পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেটার হাত ধ’রে যে দিকে হয় চলে যাব। যে আল্লা আমাদের পয়দা করেছেন, তিনি আমাদের দুজনকে দুমুঠো খেতে দিতেও পারবেন। তোমার দেওয়া দানা-পানি আর আমরা খাব না। কিন্তু যাবার আগে তোমাকে একটা কথা মনে করিয়ে দিই; কঁচা ছেলের যা কিছু ছিল, তা এমন করে ঠকিয়ে নিয়ে তুমি ভোগ করতে পারবে না -আল্লা আছেন, তুমি কিছুতেই পারবে না- ৷ আমি যদি সতী নারীর মেয়ে হই, আমি যদি সর্দারের বউ হই, তা হলে তোমায় বলৈ যাচ্ছি, ছেলে মানুষের ঠকিয়ে নেওয়া বিষয় তোমার থাকবে না-থাকবে না। আরও শোন, যে মুখে তুমি আমার ছেলেকে বেজন্ম বলেছ, সেই মুখেঃ যে কি হয়, তা দশজনে দেখবে, আমি আর সে কথা মুখে আনবে না।” স্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনিয়া জমির ক্ৰোধে ফুলিয়া উঠিল; তাহার আর তখন কাণ্ডজ্ঞান থাকিল না । সে বাঘের মত এক লম্বন্ধ দিয়া তাহার স্ত্রীর উপর পড়িল এবং “তবে রে হারামজাদি, যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা” বলিয়া সেই অসহায় রমণীকে এক পদাঘাত করিল। তাহার স্ত্রী তখন “হা আল্লা” বলিয়া মাটীতে পড়িয়া গেল ; এবার আর সে কোন কথা বলিল না। জমির রাগে অধীর হইয়া বলিল “এখনই আমার বাড়ী থেকে দূর হ’য়ে যা ; নইলে তোর ভাল হবে নাতোকে কেটেই ফুেলাব।” “আর বলিতে হইবেন। না; তােমার বাড়ীতে আর এক লহীও থাকিব না। এর ফল তোমাকে ভুগতে হবে।” এই বলিয়া জমিরের স্ত্রী জন্মের মত সেই বাড়ী হইতে চলিয়া গেল। পরদিন প্ৰাতঃকালে অলিমিদি বা তাহার মাতাকে কেহ আর সে গ্রামে দেখিতে পাইল না। তাহার পর-তাহার পর।--আর কি ! সতীবাক্য কি কখন অন্যথা R9'»