পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিসাবের খাতা। চৌকীখানি যে দিকে দেওয়ালে সংলগ্ন, সেই দেওয়ালে দুইটি মুখ খোলা কেরোসিনের বাক্স আটকান আছে এবং সেই বাক্স দুইটির মধ্যে লম্বভাবে কয়েকখানি পুস্তক সজ্জিত রহিয়াছে। দোকানের অপর পাশ্বের প্রায় অৰ্দ্ধাংশের উপর বঁাশদ্বারা বেষ্টিত । তাহারই মধ্যে কয়লার স্তুপ এবং তাঁহারই পার্শ্বে একরাশি জ্বালানী কাষ্ঠ রহিয়াছে। চৌকীর সম্মুখদিকে ৪৷৫টি কেরোসিনের বাক্সের উপর কয়েকটি কেরোসিন তেলের টিন রহিয়াছে। পশ্চাদিকের দেওয়ালের সম্মুখে ৮,১০টা বাক্স টিন বোঝাই রহিয়াছে। দোকানে অন্য কোন বিক্রেয় দ্রব্য দেখিলাম না-শুধু কাঠ কয়লা কেরোসিন তেল। অন্ধকার হইতেছে দেখিয়া দোকানদার চৌকীর নীচে হইতে একটি হারিকেন ল্যাম্প বাহির করিয়া জ্বালাইল এবং একখণ্ড চতুষ্কোণ তক্তা মাদুরের উপর রাখিয়া হারিকোনটী তাহার উপর বসাইল। তাহার পর আমাকে বলিল “আপনি এই চৌকীর উপরে উঠে বসুন। আকাশের যে গতিক দেখছি, তাতে শীগগির জল ছাড়বার সম্ভাবনা নাই। আপনি কতদূরে যাবেন জিজ্ঞাসা কৰ্ত্তে পারি কি ?” আমি বলিলাম, “কালীঘাটের নিকটেই আমার বাস। আমি এদিকে বেড়াতে এসেছিলাম ; একটু জল ধরলেই এইটুকু চলে গিয়ে ট্রাম ধরে বাসায় যাব।” দােকানদার হাসিয়া বলিল, “আর যদি জুল নাই ধরে” আমি বললাম “দেখা যাউক ।” দােকানদার যে ভাবে কথাবাৰ্ত্ত বলিতেছিল, তাহাতে তাহাকে সামান্য মুদী বলিয়া আমার মনে হইল না। তাহার বয়সও অধিক নহে; খুব বেশী হইলে চব্বিশ পঁচিশ বৎসর। চেহারা দেখিলে ভদ্রলোমের ছেলে বলিয়া মনে হয়। তাহার পর দেওয়ালের গায়ে বাক্সের মধ্যে কতকগুলি বই দেখিয়া আমার মনে একটু সন্দেহ ও t