পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিতান্ত ছোট নহে। গ্রামে হিন্দু অপেক্ষ মুসলমান অধিবাসীর সংখ্যাই অধিক। উভয় জাতির মধ্যেই দুই চারি ঘর অবস্থাপন্ন গৃহস্থও আছে। ওলাদেবী প্ৰায় প্রতি বৎসরই এই গ্রামে শুভ পদার্পণ করিয়া থাকেন। র্তাহার রূপা বা শুভদৃষ্টি মুসলমান অপেক্ষা হিন্দুর উপরই অধিক ছিল। দেবতারাও জাতিভেদ মানেন । এই পক্ষপাতদোষ ক্ষালনের জন্য একবার দেবী গ্রামে আসিয়াই প্ৰথমে মুসলমান পল্লীতে শুভ পদাৰ্পণ করেন। তিন দিনের মধ্যেই হারু মণ্ডল ও তাহার স্ত্রী এই দেবীর কৃপায় কোন এক অজানা অচেনা দেশে চলিয়া । গেল। মণ্ডলের বাড়ীতে রহিল তাহার সাবালক বড় ছেলে পরাণ ও নাবালক ছোট ছেলে নয়ান। স্ত্রীলোকের মধ্যে রহিল পরাণের যুবতী। পত্নী ; নয়ানের বয়স তখন সাত বৎসর । , পরাপের স্ত্রীর বয়স যদিও উনিশ বৎসর ; কিন্তু তাহার মাথার মধ্যে উনচল্লিশ বৎসরের বুদ্ধি খেলিত ; আর সে বুদ্ধির গতিটা “সু’র দিকে না। গিয়া “কু”রই দিকে গিয়াছিল। এতদিন মাথার উপর বাঘের মত শ্বশুর। ও বাঘিনীর মত শাশুড়ী থাকায় পরাণপত্নী টু শব্দটী করিবারও সাহস পায়