পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়াছিল। এতক্ষণ তাহাকে তুমি বা আপনি কি বলিয়া সম্বোধন করিব স্থির করিতে না পারিয়া এমন ভাবে কথা বলিয়াছি যাহাতে “তুমি বা আপনি” ব্যবহার করিতে না হয় । এইবার সে সঙ্কোচ ত্যাগ করিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম “আপনার এখানে কি কোন স্কুলের ছেলে থাকে ?” দোকানদার ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “ঐ বইগুলি দেখে বোধ হয় আপনি এ কথা জিজ্ঞাসা করছেন ? ঐ বইগুলি আমার। পূর্বের অভ্যাস ছাড়তে পারি নাই, তাই অবসর সময়ে সামান্য একটু আধটুকু পড়াশুনা করি”—এই বলিয়াই তিনি একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিলেন। এই সামান্য ব্যাপারেই আমি এই দোকানদারটির সম্বন্ধে অনেক কথা বুঝিয়া ফেলিলাম। বুঝিলাম ইনি ভদ্র গৃহস্থ-সন্তান, লেখাপড়া জানেন ; অবস্থা-বিপৰ্য্যয়ে সহরের প্রাস্তদেশে এই কাঠ-কয়লা কেরোসিনের দোকান শুলিয়াছেন। আমি তখন তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কি এখানে একাকী থাকেন ?” তিনি বলিলেন “না, আমার স্ত্রীও আমার । সঙ্গে থাকেন। এই পাশের ঘরেই আমরা স্ত্রী-পুরুষে বাস করি।” আমি বলিলাম-“আপনার বাড়ী কোথায়, জিজ্ঞাসা করিতে পারি কি ?” আমার প্রশ্ন শুনিয়া যুবকের মুখখানি কেমন মলিন হইয়া গেল।” তিনি একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন, “এখন এই আমার বাড়ী।” আমি বুঝিতে পারিলাম যুবক আত্ম-পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক। কাজেই আমি তাহার পরিচয় লাভের জন্য আর কোন প্রশ্নই করিলাম না। তিনি আমার মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া অতি কাতর বচনে বলিলেন, “আমার মত হতভাগ্যের পরিচয় না জানাই ভাল। তবে এইমাত্ৰ জানিয়া রাখুন, আমি কায়স্থের সন্তান। আমার পরিচয় প্রদানের যে বাধা আছে, আপনার হয় ত সে বাধা না থাকিতে পারে।” আমি [豆] እSዓ