পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন তঁহাকে আমার নাম বলিলাম। তিনি হৰ্যোৎফুল্ল নয়নে আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আপনার আর পরিচয়ের প্রয়োজন নাই। আপনাকে আমি বিশেষভাবে জানি। আপনাকে দুই চারিবার আমাদের নৰ্ম্মাল স্কুলেই দেখিয়াছি। আপনার কনিষ্ঠ ভ্রাতা আমাদিগের শিক্ষক ছিলেন ।” তাহার পর তিনি আমার সম্বন্ধে আরও অনেক কথা বলিলেন ; সে সকলের উল্লেখ নিম্প্রয়োজন। তাহার পর তিনি অতি বিনীতভাবে বলিলেন, “আপনি আমার গুরুস্থানীয়; যদি সাহস দেন। তবে একটি প্রার্থনা জানাই।” আমি বলিলাম, “আপনি এমন ভাবে কথা বলিতেছেন কেন ? আপনার যাহা বলিবার * থাকে, স্বচ্ছন্দে বলিতে পারেন।” তিনি বলিলেন “আকাশের যে রকম অবস্থা দেখছি, তাতে আজ রাত্ৰিতে যে বৃষ্টি ছাড়ে এমন বোধ হয় না। যদি অনুমতি করেন, তা হ’লে আমার স্ত্রীকে আহারের আয়োজন কৰ্ত্তে বলি। আমিও কায়স্থ ; তবে একটি কথা আপনাকে বলিয়া রাখা ভাল আমি সমাজচ্যুত, অথবা জাতিচু্যতও বলিতে পারি।” আমি বলিলাম “আমার আহারের জন্য ভাবতে হবে না । বৃষ্টি যদি নিতান্তই না ধরে, আপনি কি আমায় একটা ছাতা দিতে পারবেন না ? स्राभि कालझे छांडां शिब्रिश लिन रांत।” তিনি বঁটুললেন, “এমন বৃষ্টির মধ্যে কি কেউ ঘরের বা’র হয় ? আপনি বলেন কি ?”-এই সময়ে পাঞ্জুের কক্ষ হইতে সামান্য একটু শব্দ হইল। দোকানদার সেই শব্দ শুনিয়া কক্ষান্তরে চলিয়া গেলেন!! একটু পরেই ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “আমার স্ত্রীও অনুরোধ করছেন যে, আপনি আজ এই গরীবের দোকানেই আতিথ্য স্বীকার করেন । আপনাকে খাওয়াতে পারি এমন কিছুই আমাদের ঘরে নাই ; তবে এই ভয়ানক বৃষ্টির মধ্যে যাওয়া অপেক্ষা আমাদের দু’টাে শাক ভােতই ভাল Sr