পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে করেই এই অনুরোধ করছি। আর যাবেনই বা কি করে ? এই বৃষ্টিতে ট্রাম নিশ্চয়ই বন্ধ হয়ে গিয়েচে । এ অঞ্চলে ভাড়াগাড়িও কম ; যে দুই চারিখানি আছে, তারাও বেরুবে কি না সন্দেহ। যদিই বা তা’রা ভাড়ায় যেতে স্বীকার করে, তা হলেও এই দুৰ্য্যোগের মধ্যে এখান থেকে কালীঘাট যেতে তিন টাকা, সাড়ে তিন টাকা চেয়ে বসবে। তবে যদি আমাদের হাতে খেতে আপনার আপত্তি থাকে, তা হলে জলখাবারেরও ব্যবস্থা করে দিতে পারি।” আমি বলিলাম “আপনি অত কথা বলছেন কেন ? আমার সে সব আপত্তি কিছুই নেই। আর একটু অপেক্ষা করুন, ততক্ষণে জল যদি না ছাড়ে, তখন খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা যাবে। আপনার ঐ ৰাক্সে কি বই আছে দেখতে পারি কি ?” তিনি বলিলেন, “আপনার পড়বার মত কোনও বই নাই।” আমি তখন একখানি একখানি করিয়া তার বইগুলি টানিয়া বাহির করিতে লাগিলাম ; দেখিলাম তাহার মধ্যে নাটক নভেল একখানিও নাই ; আছে ভূদেববাবুর “সামাজিক প্ৰবন্ধ,” “পারিবারিক প্ৰবন্ধ,” অক্ষয়কুমার দত্তের ‘ধৰ্ম্মনীতি, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণচরিত্র, হীরেন্দ্ৰবাবুর “গীতায় ঈশ্বরবাদ,” আর কতকগুলি সংস্কৃত কাব্য ও নাটক। দেখিয়াই এই ভদ্র যুবকের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধার উদয় হইল। আমি বুঝিতে পারিলাম, কোন বিশেষ কারণে এই যুবক সমাজচ্যুত হইয়া এই স্থানে আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছেন । আমি বইগুলি যখন যথাস্থানে রাখিতে আরম্ভ করিলাম, তখন যুবক ৰালিলেন “অন্য ভাল বইয়ের খোঁজও পাই না, কিনবারও সাধ্য হয় না। ঐ কয়খানি বই-ই উল্টে পালটে পড়ি।” বই সাজান শেষ হইলে আমি যুবকের দিকে চাহিয়া বলিলাম, ଜକ