পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বলিলাম-“এ সপ্তাহের মধ্যে ত ছুটি নাই ; তবে যদি বলেন তা’হলে যে কোন দিন পাচটার পরে আসতে পারি।” অতুলবাবুর মারফৎ উত্তর আসিল-“তা, তা কাজ নেই, তবে রবিবারই আসবেন। আমাদের গরীব বলে ভুলে যাবেন না।” আমি বলিলাম “আমিও বড় গরীব।” তখন অতুলবাবুর মুখে উত্তর আসিল,-“রামচন্দ্ৰ গুহক চণ্ডালের বাড়ীতেও গিয়াছিলেন, এই যা আমাদের ভরসা। তা’হলে রবিবারই ঠিক রহিল।” “বিশেষ কোনও প্ৰতিবন্ধক না হ’লে নিশ্চয়ই আসাব”-এই কথা বলিয়া আমি দোকানের বাহিরে আসিলাম। অতুলবাবু আমার সঙ্গে সঙ্গে আসিলেন । নানা বিষয়ে কথা বলিতে বলিতে আমরা টালীগঞ্জের ট্রামের রাস্তায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। সৌভাগ্যক্রমে তখন একখানি ট্রাম আসিতেছিল এবং আমরা যেখানে দাড়াইয়াছিলাম, সেই স্থানের পাশ্বেই তারvSCSS site st; PICS. faif's fg"Cars stop here if required. অতুলবাবু গাড়ী আসিতে দেখিয়াই দুই হস্ত উৰ্দ্ধে তুলিয়া ‘বাধো, বাঁধে।” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন। গাড়ী থামিল-আমি গাড়ীতে উঠিলাম। অতুলুবাবু করযোড়ে, নতমস্তকে আমাকে নমস্কার করিয়া বলিলেন “ভূলিবেন না—রবিবার সকালে- ” গাড়ী ছাড়িয়া দিল। আমি মুখ বাড়াইয়া বলিলাম “নিশ্চয়ই।” ট্রামে বসিয়া একটি কথাই বারবার আমার মনে উঠতে লাগিল। ভাবিতে লাগিলাম যে, এমন সদালাপী সহৃদয় ব্যক্তি এমন কি অপরাধ করিতে পারেন, যাহাতে তিনি সমাজচ্যুত হইয়া, আত্মীয় বন্ধুবান্ধব ত্যাগ করিয়া, যুবতী স্ত্রী সঙ্গে লইয়া এই নিৰ্ব্বান্ধব স্থানে নিৰ্বাসন-দণ্ড ভোগ করিতে আসিয়াছেন। আমাদের - সমাজে এখন ত কিছুতেই কাহারও Q R