পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিচু্যতি ঘটে না ; আমাদের সমাজ ত অনেক ধৰ্ম্মবিগহিত আচার-ব্যবহার অনায়াসে হজম করিয়া লইয়াছেন। বোধ হয় কোন পারিবারিক কলঙ্ক এই ভদ্রলোককে দেশত্যাগী করাইয়াছে। নানা কথা মনে হইল, নানা কারণ কল্পনা করিলাম, কিন্তু তাহার কোন একটার উপরও আস্থা স্থাপন করিতে পারিলাম না। এ কৌতুহল নিবৃত্তিরও কোন উপায় নাই। পরে যে দিন সাক্ষাৎ হইবে, সেদিনও তঁহাকে এ সম্বন্ধে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারিব না ; অথচ এ চিন্তা ত্যাগও করিতে পারিতেছি। না । এইরূপ নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে বাসায় ফিরিয়া আসিলাম । এই দিনের ঘটনার কথা কাহারও নিকট প্ৰকাশ করিবার তেমন আবশ্যকতা অনুভব করিলাম না । এই দিনের পর হইতে পরবত্তী শনিবার পর্য্যন্ত এমন দিন যায় নাই, যেদিন এই যুবকদম্পতির কথা আমার মনে হয় নাই। রবিবার প্রাতঃকালে তাড়াতাড়ি স্নানাদি শেষ করিয়া টালীগঞ্জ যাত্ৰা করিলাম। পূর্ব শনিবার যে রাস্তার মোড়ে ট্রামে উঠিয়ছিলাম, দূর হইতে দেখিলাম। সেই স্থানে একটি যুবক দণ্ডায়মান রহিয়াছেন। অতদূর হইতে মানুষটিকে চিনিতে পারিলাম না বটে, কিন্তু কি জানি কেন, আমার মনে । হইল অতুলবাবুই ঐ স্থানে আমার প্রতীক্ষায় দাড়াইয়া আছেন। গাড়ী আর একটু অগ্রসর হইলে চাহিয়া দেখিলাম, অতুলবাবুই বটে ! বেলা তখন নয়টা। অতুলবাবু হয় ত মনে করিয়াছিলেন আমি সাড়ে সাতটা আটটার মধ্যেই তঁাহার দোকানে পৌছিব । আমার বিলম্ব দেখিয়া, অথবা আমি হয়ত রাস্তা ঠিক করিতে না পারি।-এই ভাবিয়া তিনি ট্রামের রাস্তায় আসিয়া দাড়াইয়া ছিলেন। গাড়ীখানি সেই রাস্তার সম্মুখে দাড়াইবামাত্র আমি নামিয়া পড়িলাম। অতুলবাবু অগ্রসর হই। সা. আমার পায়ে হাত দিয়া প্ৰণাম করিতে আসিলেন। আমি তাহার হাত ধরিয়া তুলিয়া তাহাকে আলিঙ্গন o VO