পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া বলিলাম “আপনি এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কেন ?” অতুলবাবু বলিলেন “আটটা পৰ্য্যন্তও যখন আপনাকে দেখলাম না, তখন আমি মনে করলাম, আপনি হয় তা আসিলেন না ; কিন্তু আমার স্ত্রী বলিলেন, তাহা হইতেই পারে না ; আপনি নিশ্চয়ই আসিবেন । তিনি বলিলেন-আপনি সেদিন ঝড়বৃষ্টির অন্ধকারে এসেছিলেন ; হয় ত রাস্তা ঠিক কৰ্ত্তে পাচ্ছেন না। তাই তিনিই আমাকে এখানে এসে দাড়িয়ে থাকতে বলে দিলেন।” আমি বলিলাম, “ভারি পাগল দেখছি ত ! এই রাস্তাটাই চিনে নিতে পারব না ! তা যাক, আপনি কতক্ষণ এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কৰ্ম্মভোগ কচ্ছেন।” অতুলবাবু একটু সঙ্কুচিতভাবে বলিলেন, “আধা ঘণ্টার উপর।” আমি হাসিয়া বলিলাম, “আপনারা দুইজনেই দেখছি ছেলেমানুষ। তা চলুন, এখন যাওয়া যাক ৷” অতুলবাবুর দোকানে উপস্থিত হইয়া দেখি, দোকানের পাশ্বের একটি ; বৃক্ষতলে হস্ত মুখ প্ৰক্ষালনের এবং স্নানের জল প্রভৃতি সজ্জিত রহিয়াছে। দোকানের মধ্যের সেই তক্তপোষের উপর সেদিন আর শুধু মাদুর বিস্তৃত নাই ; তক্তপোষখানি একখানি ধবধবে বিছানার চাদরে আচ্ছাদিত হইয়াছে; একটি বালিশ সেখানে স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। একখানি পাটকরা কাপড়, এবং একখানি নূতন তােয়ালে তক্তপােষের এক পার্শ্বে সুরক্ষিত হইয়াছে। এই সকল আয়োজন দেখিয়া আমি হাসিন্মা বলিলাম “সব কাজ ফেলে আজ বুঝি আমার অভ্যর্থনার জন্যই আপনারা ব্যস্ত হয়েছিলেন। এ সকলের কি দরকার ছিল ?”-এই বলিয়া আমি দোকানের এক পাশ্ব হইতে একটি কেরোসিনের বাক্স টানিয়া লইয়া তাহার উপর বসিয়া

  • ख़्लिांभ । 骨 sing

So 8