পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতুলবাবু বলিলেন, “ও কি বস্যা হল। আপনি তক্তপোষের উপর উঠে ভাল হয়ে বসুন।” আমি বলিলাম, “সে ভাবনা আপনার করতে হবে না, আপনি । আপনার কাজে যান । বাড়ীর ভিতর খবর দিন যে আমি এসেছি।” অতুলবাবু হাসিয়া বলিলেন, “এ ত আমার রাজ অন্তঃপুর নয় যে, খবর দিতে হবে । আপনি রাস্তায় থাকতেই সে খবর হয়ে গেছে।” আমি বলিলাম, “তা’হলে বলুন আপনি মোড়ের মাথায়, আর আপনার স্ত্রী অৰ্দ্ধেক রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলেন। আমার জন্য এত আকুলভাবে প্ৰতীক্ষা করবার কোন প্রয়োজন ছিল না !! একদিনের সামান্য একটু পরিচয়ে মানুষ মানুষের জন্য যে, এত অধীর হয়-তা এত বয়স পৰ্য্যন্তও আমি জানতুম না।” অতুল বাবু একটি সুন্দর উত্তর করিলেন ; এমন কথা বড় একটা শুনিতে পাওয়া যায় না। তিনি বলিলেন “বিশ বছরের জানা শুনাতেও পরিচয় হয় না, আর বিশ মিনিটের পরিচয়েও আপনার জন পাওয়া যায়। চুম্বকেই লৌহ আকর্ষণ করে। লোহার কাছে লোহা পড়ে থাকলে দশ বিশ বছরও লাগে না, দশদিনেই তা মরচে ধ’রে যায়। সে, সব কথা যাক, আপনি এখন কাপড় চোপড় ছেড়ে, হাত মুখ ধুয়ে স্নান করুন। বেলা কম হয়নি, ন’টা বেজে গিয়েছে।” আমি বলিলাম, “সে সব কাজ সেরে আসতেই ত একটু দেরী হয়ে গিয়েছে!”-এই বলিয়া আমি পকেটে হাত দিল৷৷ ৭ ৷৷ অতুলবাবু আমার ভাব বুঝিতে পারিয়াই বলিলেন, “আপনি চুরুট বার কচ্ছেন কেন ? আমি যে আপনার জন্যে চুরুট এনে রেখেছি।”- এই বলিয়া তিনি পার্থের একখানি তক্তার উপর হইতে ছয়টি চুরুট ও একটি দিয়াশলাই আনিয়া আমার সম্মুখে ধরিলেন। እ © (t