পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পূর্ণ নূতন। আমার মনে তখন যে ভাবের সঞ্চার হইয়াছিল, তাহা প্ৰকাশ করিবার কোন উপায় না দেখিয়া আমি ধীরভাবে বলিলাম। —“বেশ!” অতুলবাবু আর কোন কথা না বলিয়া চুরুট ও দিয়াশলাই তক্তপোষের উপর রাপিয়া ভিতরে চলিয়া গেলেন। আমি বসিয়া বসিয়া এই ত আতিথেয়তার কথা ভাবিতে লাগিলাম । একটু পরেই অতুলবাবু আসিয়া বলিলেন, “আপনাকে এই পাশের ঘরে একবার যেতে হবে ।” d আমি বলিলাম, “কেন—জলখাবারের জন্য না কি ? সে সব কিছু দরকার হবে না, একেবারেই ভাত খাওয়া যাবে ; আমার ওসব অভ্যাস नांक्षे ।” অতুলবাবু বলিলেন, “জাল ত একটু খেতেই হবে। রান্নার বিলম্ব আছে। আমাদের ত আর চাকর বামুন নেই। একটি মাত্র বুড়ো ঝি আছে। সেই দিনরাত থাকে, আর যতটুকু পারে কাজ কৰ্ম্মের সাহায্য । করে। এখন আপনাকে জল খাবার জন্য ডাকৃছি না, তারও দেরী আছে ।” আমি মনে করিলাম বোধ হয় ভিতরের ঘরদুয়ারগুলি দেখাইবার জন্ম তিনি আমাকে ডাকিতেছেন। তাই আমি বলিলাম, “আপনার দোকানঘর ত সেদিনই দেখেছি, আজও দেখলাম ; চলুন আপনার ভিতরের ঘরদুয়ার ও গৃহস্থালী দেখে আসি।” আমার কথা শুনিয়া অতুলবাবু অতি কাতরস্বরে বলিলেন, “ভিতরে ঘর দুয়ার কিছুই নেই,-একখানি মাত্র রান্নাঘর, আর খানিকটা জায়গা বেড়া দিয়ে ঘেরা। আর গৃহস্থালীর কথা যা বলছেন, তা বহুদূরে ফেলে এসেছি।” এই বলিয়া তিনি একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন । আমি সত্যসত্যই বড় বিপদে পড়িলাম। কোন কথা বলিলে তঁাহার So