পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৃদয়ে আঘাত লাগে, তাহা ঠিক ঠাহর করিতে পারি না। তখনই মনে মনে স্থির করিলাম, এই যুবকের সহিত বেশ ভাবিয়া চিন্তিয়া কথা বলিতে হইবে। ঘর গৃহস্থালী, সংসার সমাজ, এ সকল সম্বন্ধে কোন কথাই তুলিব না। তাহা হইলেই হয় তা যুবকের হৃদয়ে কি জানি কি পূৰ্ব্বস্তৃতি জাগিয়া উঠিতে পারে। অতুলবাবুর সহিত পাশ্বাস্থ কক্ষে প্ৰবেশ করিবামাত্রই অবগুণ্ঠনবতী একটি যুবতী আসিয়া আমাকে প্ৰণাম করিলেন। এ প্ৰণামে বাধা দিবার শক্তি আমার ছিল না। আমার শুধুই মনে হইল, যে যুবতী আমাকে প্ৰণাম করিতেছেন, তাহার পদধূলি পাইলেই আমি কৃতাৰ্থ হইয়া যাই। আমি মনে মনে ঐ প্ৰণাম তীহাকেই ফিরাইয়া দিলাম। কিছু বলিতে হয় তাই বলিলাম, “মা, তোমায় দেখিও নাই,-তােমাকে জানিও না,-তবে তোমাকে চিনিয়াছি। আশীৰ্ব্বাদ করি, তুমি স্বামী সুখে সুখী হও । ইহার অধিক আশীৰ্ব্বাদ আমি জানি না।” আমি আর কথা বলিতে পারিলাম না। তখন আমার মনে যে ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহ গোপন করিবার জন্য আমি অতুলবাবুকে বলিলাম, “চলুন। অতুলবাবু, আপনার রান্নাঘর --দেখি ] মা অন্নপূর্ণ কি করছেন তার খবর নিয়ে আসি।” অতুলবাবুর স্ত্রী পাশ্বে সরিয়া দাড়াইলেন। আমরা ভিতর দিকের উঠানে গেলাম। দেখিলাম ছোট একখানি রান্নাঘর এক পাশ্বে আছে, রান্নাঘরখানি • দুইভাগে বিভক্ত-একভাগে রান্না হয়, আর একভাগে বােধ হয় ঝি থােক। এছাট উঠানটির দুইদিক বেড়া দিয়া ঘেরা, আর একদিকে রান্নাঘর, অপর দিকে দোকানঘর। অনেক গৃহস্থের বাড়ীর উঠান দেখিয়াছি, অনেক দেবলয়ের প্রাঙ্গণ দেখিয়াছি; কিন্তু এমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুদৃশ্য উঠান কোথাও দেখিয়াছি বলিয়া মনে ত পড়ে না। ক্ষুদ্র উঠানটি যেন পুষ্পবাটিকা, যেন محo ?