পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি কবিকুঞ্জ-নো না যেন একটি তাপসের আশ্রম। কবি নহি, ভাবুকি নহি, সাধু নহি, ধাৰ্ম্মিক নহি, তপস্বীী নহি,-এ উঠানের শোভা বৰ্ণনা করিতে পারিলাম না। এই যুবক-যুবতীকে চিনিতে আর বাকী রহিল। না। টালীগঞ্জের প্রান্তভাগে জঙ্গলাকীর্ণ পল্লীর মধ্যে যে যুবক যুবতী এই আশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করিতে পারে, এত সৌন্দৰ্য্য, এত পবিত্রতা ঢালিয়া দিতে পারে, তাহারা মানব-মানবী, না দেব-দেবী ! আমি অতুলবাবুকে বলিলাম, “আপনার এখানে আসিয়া আমি পবিত্রতার মাহাত্ম্য বুঝিতে পারিলাম।” অতুলবাবুৰ মস্তক অবনত করিলেন। আমি তখন বলিলাম “চলুন বাহিরে যাওয়া যাক; এখানে দাড়িয়ে থাকলে রান্নার আরও দেরী হবে”-এই বলিয়া আমরা বাহিরে 5क्लिन्न ऊग्निब्लभ । তাহার পর জলযোগ-তাহার কিয়ৎক্ষণ পরেই আহার। কিন্তু সে সকলে, বিস্তুত পরিচয় দিতে গেলে, আমার এ ছােটগল্পের সীমা অতিক্ৰম । করিয়া যাইবে। এই দম্পতির যেটুকু পরিচয় দিয়াছি, তাহা হইতেই পাঠকগণ জলযোগ ও আহারের বিস্তৃত্ব বিবরণ কল্পনা করিয়া লইবেন। আহারান্তে আমি বিশ্রামাসন গ্ৰহণ করিলাম, অতুলবাবু আহার করিতে গেলেন।” দশ মিনিটের মধ্যেই আহারাদি কাৰ্য্য শেষ করিয়া অতুলবাবু বাহিরে আসিলেন। আমার দিবানিদ্রার অভ্যাস নাই, আমি বসিয়া বসিয়া একখানি পুস্তকের পাতা উলটাইতেছিলাম। অতুলবাবু বলিলেন, “আমার খেতে বড় দেৱী হয়ে গিয়েছে! আপনার এতক্ষণ একলা একলা বসে বড়ই কষ্ট হচ্ছিল।” আমি বলিলাম, “একলা একলা বসে কোনই কষ্ট হয়নি; কিন্তু আপনি তাড়াতাড়ি একরকম না খেয়েই যে উঠে এসেছেন—এই মনে করেই এখন কষ্ট হচ্ছে।” o o GW