পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্তারই কলঙ্ক-কাহিনী। আপনি তঁকে মা বলেছেন। আপনার সেই মায়ের কলঙ্কিত, লাঞ্ছিত জীবনকাহিনী আপনার শুনতেই হচ্ছে। সব কথা শুনে আপনার বিচারে যা হয় তাই করবেন।” অতুলবাবুর এই সূচনা শুনিয়া আমার হৃদয় ব্যথিত হইল। আমি বলিলাম, “আমি তাকে মা বলেছি, সহস্ৰ ধূলা কাদা মাখা হলেও তিনি আমার মা। মায়ের সুখদুঃখের কথা শুনবার অধিকার পুত্রের আছে; কিন্তু মায়ের দুর্বলতার কথা, মায়ের কলঙ্কের কথা পুত্রের অশ্রাব্য। হাজার কলঙ্ক থাকুক, হাজার দুর্বলতা থাকুক, মা নামেই সব ধুয়ে যায়, সব মুছে যায়, সব দূর হয়ে যায়। ভারতের পুরাণে ইতিহাসে একজন বই দুইজন পরশুরাম জন্মেনি-” আমার কথায় বাধা দিয়া অতুলবাবু অতি কাতরস্বরে বলিলেন, “আপনি যাকে মা বলেছেন, তঁরই আদেশে তঁর কথা আপনাকে বলছি। আপনার শোনা দরকার, আপনার জানা প্রয়োজন।” আমি বলিলাম, “কোন অতুলবাবু, আমাকে সব কথা বলতে চাচ্ছেন ? আমি ত কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি ত কোন প্রয়োজনই gथछेि न ।।” অতুলবাবু বলিলেন, “আপনি প্রয়োজন না দেখতে পারেন, আমরা বিশেষভাবে প্রয়োজন অনুভব করছি। আমাদের জীবনের কথাও বড় বেশী নয়! অল্প দুই চারিটি কথা বললেই আপনি সব বুঝতে পারবেন!”—এই বলিয়া তিনি, যে কাহিনী বলিয়াছিলেন, যথাসম্ভব। তঁহারই ভাষায় আমি তাহা সংক্ষেপে বলিতেছি। তিনি বলিলেন :- “এই চব্বিশ-পরগণা জেলার একটি ক্ষুদ্র গ্রামে আমাদের বাড়ী ছিল। বাড়ী এখনও আছে, কিন্তু সে বাড়ী আর আমার নয় বলিয়া ‘ছিল’ বলিলাম। আমার মাতাপিতা কেহই বৰ্ত্তমান নাই। বাড়ীতে আমার এক বড় ভাই SSS