পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছেন, তাহার ছেলে মেয়ে ৪৷৫টি আছে। আমার সর্বজ্যেষ্ঠ ভ্রাতার এক বর্ষীয়সী বিধবা পত্নী আছেন। তঁহার দুইটি কন্যা ; তাহদের বিবাহ হইয়া গিয়াছে। আমার যে বড় ভাই এখন বঁাচিয়া আছেন, তিনি বিপত্নীক। দশবৎসর পূর্বে র্তাহার পত্নীবিয়োগ হয় ; তিনি আর বিবাহ করেন নাই। আমার ছোট আর ভাই নাই, আমিই সৰ্বকনিষ্ঠ। গ্রামের নাম, পিতা বা ভ্রাতার নাম বলিবার আমার অধিকার নাই। তঁহারা সমাজে বাস করেন, আমি সমাজচ্যুত ; আঁহাদের পরিচয়ে আমার পরিচয় দিবার আর অধিকার নাই। “আমাদের বৈষয়িক অবস্থা একরকম ভালই ছিল। আমাদের যে জমাজমি ছিল এবং এখনও আছে, তাহাতে ভদ্রলোকের মতনই আমাদের সংসার চলিয়া যায়। গ্রামের মধ্যে আমরা দশজনের একজনই ছিলাম। আমার পিতা কোন দিন চাকরী করেন নাই, আমার দাদাও কখন চাকরী করেন নাই, এখনও করেন না। তিনি জমাজমি দেখেন, খাজনাপত্ৰ আদায় করেন, তেজারিতিও করেন । মামলা মোকৰ্দমা করিতে এবং মামলা মোকৰ্দমায় সাল পরামর্শ দিতে তিনি আমাদের গ্রামের মধ্যে অদ্বিতীয় বলিলেও হয়। বাঙ্গলাদেশে এমন গ্ৰাম নাই, যেখানে দলাদলি নাই ; আমাদের গ্রামেও দলাদলি আছে। একদলের প্রধান আমার বড়দাদা, আর একদলের প্রধান আমাদের দক্ষিণপাড়ার একটি লোক-তিনিও জাতিতে আমাদেরই কায়স্থ। এই দুই দলে বিবাদ বিসংবাদ, মামলা মোকৰ্দমা সর্বদাই চলিত । kl. “দাদা সামান্য লেখাপড়া জানেন । গ্রামের পাঠশালার পাঠ শেষ করিয়াই তিনি বিষয়কৰ্ম্মে প্রবিষ্ট হন। নিজে ভাল লেখাপড়া শিখিতে পারেন নাই, এই জন্য আমাকে তাহারা লেখাপড়া শিখাইতে আরম্ভ করেন। আমি আমাদের দেশেরই একটি স্কুল হইতে ছাত্রবৃত্তি পাস SSR