পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া কলিকাতা নিৰ্ম্মাল স্কুলে পড়িতে আসি। আমি যখন তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে পড়ি, সেই সময় আপনার ছোট ভাই আমাদের শিক্ষক ছিলেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগের পূর্বেই আমার পিতার মৃত্যু হয় এবং ছাত্রবৃত্তি পাশের পরই সতর বৎসর বয়সের সময় আমার विदोंश् श् । “আমার চাকরী করিবার কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু বাড়ী বসিয়া কি করিব ? বৈষয়িক কাৰ্য্য দাদাই দেখেন শোনেন । এই জন্য আমি আমাদের গ্রাম হইতে চারিক্রোশ দূরস্থিত এক গ্রামে মাইনর স্কুলের হেডপণ্ডিতি স্বীকার করি। প্রতি শনিবারে স্কুলের ছুটীর পর বাড়ী আসিতাম, আবার সোমবারে যাইয়া স্কুল করিতাম। এই পণ্ডিতি আমি তিন বৎসর করিয়াছি। তাহার পরই আমার দুর্দশার আরম্ভ। “পূর্বেই বলিয়াছি, আমার বড়দাদা একদলের প্রধান ছিলেন। মামলা, মোকৰ্দমা, ভিন্ন দলের লোকের অনিষ্টসাধন, তাহাদিগের নিৰ্য্যাতন, এই সকল তঁহার প্রধান কাৰ্য্য হইয়া পড়িল । এই জন্য আমাদের গ্রামে এবং নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমূহে তাহার শত্রুর সংখ্যা বড় কম ছিল না। কিন্তু কেহই তেঁাহাকে অ্যাটিয়া উঠিতে পারিত না ; সকলেই তঁহাকে ভয় করিত, কারণ র্তাহার অসাধ্য কোন কৰ্ম্মই ছিল না। তিনি আমাকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন, তাই আমি মধ্যে মধ্যে তাহাকে এই সকল কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত থাকিতে অনুরোধ করিতাম। তিনি আমার সে অনুরোধ শুনিতেন না ; বলিতেন—এই রকম শক্ত না হ’লে কি বিষয় রক্ষা করা যায়, না দশজনে মানে চেনে। আমি কি করিব, নীরব হাইতাম । “আর একটী কথাও পূর্বে বলিয়াছি—আমার দাদা বিপত্নীক ছিলেন। তিনি তঁাহার চরিত্র নিষ্কলঙ্ক রাখিতে পারেন নাই। আমাদের I) ১১৩