পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি মনে করিলাম, বোধ হয় আজই কোন দলিল লেখাপড়া হইবে, তাই দাদা আমাকে ডাকিতে পাঠাইয়াছেন। হরিদাস হয় ত সে কথা জানে না । হরিদাসকে দেখিয়াই যে উৎকণ্ঠ বোধ হইয়াছিল, তাহা অনেকটা কমিয়া গেল। হরিদাসকে বলিলাম, “তুই একটু ব’স, আমি মাষ্টার মহাশয়কে ব’লে আসি।” আমি তখনই হেডমাষ্টার মহাশয়ের বাসায় গেলাম, এবং সেই দিনের জন্য র্তাহার নিকট হইতে বিদায় গ্ৰহণ করিয়া বাড়ী যাত্রা করিলাম। হরিদাস বলিল “ছোট বাবু, আপনি আস্তে আস্তে আসুন, আমি এজ্ঞে আগে গিয়ে খবর দিই।” এই বলিয়া আমার উত্তরের প্রতীক্ষা না করিয়াই হরিদাস চলিয়া গেল। বাড়ীতে কোন দুর্ঘটনা হইলে হরিদাস সে কথা নিশ্চয়ই বলিত, এই ভাবিয়া আমি ধীরে ধীরে চলিতে লাগিলাম । গ্রামে প্ৰবেশ করিলে রাস্তায় যে দুই চারিজন লোকের সহিত সাক্ষাৎ হইল, তাহারা আমাকে দেখিয়া পাশ কাটাইয়া চলিয়া গেল ; শুধু কুবের মণ্ডল নামক একটি মুসলমান আমাকে সেলাম করিয়া বলিল “ছোটাবাবু, এই বুঝি আসছেন। যান, শীগগির শীগগির ঘরে যান। হা আল্লা! এমন মানুষের উপরও এমন দুষমনি, করে!”- এই বলিয়াই সে পাশ্বের একটা গলিতে প্ৰবেশ করিল। তাহার কথা শুনিয়া আমার প্রাণের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল। তবে ত নিশ্চয়ই কোন বিপদ হইয়াছে ! কুবেরকে ডাকিয়া কিছু জিজ্ঞাসা করিব, সে সাহসও হইল না। আমার বুকের মধ্যে কঁাপিয়া উঠিল। বাড়ীতে যাইয়া কি বিপদের কথা শুনিব-ভাবিয়া আমার মুখ শুকাইয়া গেল । ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া আমি আমাদের বাড়ীর সদরের বৈঠক SS G.