পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খানার সম্মুখে উপস্থিত হইলাম। একটু দূর হইতেই দেখিতে পাইয়াছিলাম, বৈঠকখানা ঘরের বারান্দায় বসিয়া কতকগুলি লোক হাত মুখ নাড়িয়া কি কথাবার্তা বলিতেছিল। আমাকে দেখিয়াই তাহারা চুপ করিল। আমি কম্পিত হৃদয়ে প্ৰথমে বৈঠকখানায় প্রবেশ করিলাম। সেখানে কাহাকেও না দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম-“দাদা কৈ রে ?” বাহিরে যাহারা বসিয়া ছিল, তাহারা সকলেই আমাদের মুসলমান প্ৰজা। তাহাদের মধ্যে একজন বলিল, “মেজবাবু বাড়ীতে নেই গো ছোট বাবু!” আমি বলিলাম “কোথায় গিয়েছেন ?” কেহই এ প্রশ্নের উত্তর করিল না । ” “সেই সময়ে বৌদিদি আলুথালু বেশে কঁাদিত্তে কঁাদিতে আসিয়া আমার গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন, ”ঠাকুর পো, সৰ্ব্বনাশ হয়েছে! জাতমান সব গিয়েছে!” তিনি আর কিছুই বলিতে পারিলেন না, শুধু কঁদিতে লাগিলেন। আমি অতি কাতরকণ্ঠে বলিলাম, “কি হয়েছে বৌদিদি, আমি যে কিছুই বুঝতে পারছি না।” বৌদিদি। তখন আমার হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন, “বাড়ীর ভিতরে এস ঠাকুর পো, সবই শুনতে পাবে।” আমি তখন র্তাহার সঙ্গে সঙ্গে বাউীর মধ্যে প্ৰবেশ করিলাম । “আমাকে দেখিয়া বাড়ীতে যাহারা ছিলেন এবং প্ৰতিবেশিনীরা যে পাঁচ সাত জন উপস্থিত ছিলেন, সকলেই আমাকে বেষ্টন করিয়া কঁদিতে কঁদিতে একযোগে যে সকল কথা বলিলেন,- তাহার। সার মৰ্ম্ম এই যে, পূর্বরাত্ৰিতে দক্ষিণপাড়ার চারি পাঁচ জন লোক আমাদের বাড়ীতে প্ৰবেশ করিয়া আমার স্ত্রীকে বলপ্ৰকাশ পূর্বক লইয়া গিয়াছে। দাদা তখন বাড়ীতে ছিলেন না ; চাকরেরাও কেহ বাড়ী ছিল না ! বাড়ীর স্ত্রীলোকদের চীৎকার শুনিয়া প্ৰতিবেশীরা অনেকেই দৌড়িয়া আসিয়া 为心°