পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাহিত না ; সাত বৎসরের বালক তখনই বুঝিয়াছিল যে, বাপমায়ের সঙ্গেই তাহার আদর আবদারেরও ককবর হইয়াছে। পরাণের বাপের বিঘা আষ্ট্রেক জমি ছিল। তাহারা বাপবোঁটায় সেই জমি চাষ করিত। জমিতে যে ধান ও রবিশস্য হইত, তাহার দ্বারা সারা বৎসর চলিত না-দেশে অজন্ম যে লাগিয়াই আছে। সেইজন্যই যখন তাহাদের চাষের তাড়া না থাকিত, তখন তাহারা বাপবোঁটায় মজুর খাটত। তাহারা কখনও বা অন্যের জমি চাষ করিয়া দিত, কখনও বা ঘরামীর কাজ করিত। এই উপায়ে তাহদের যাহা লাভ হইত, তাহাতে তাহদের সংসার চলিয়া যাইত। তাহারা যদি ইচ্ছা করিত, তাহা হইলে মাসে মাসে কিছু কিছুটাকাটা সিকেটা সঞ্চয়ও করিতে পারিত। কিন্তু সঞ্চয় করা বা ভবিষ্যৎচিন্তা করা বাঙ্গালার চাষার কোষ্টিতে লেখে না ! হারুমণ্ডল ও পরাণ কৃষকের মতই ছিল। যে দিন জন খাটিয়া ব্যাপবোঁটায় দশ আনা পয়সা পাইত, সে দিন छन स्रानां ब्रिा श्न उ यक शैनिश भांश् किनिड़, शई यान ब्रि श् डीज़ দধিই কিনিত। তাহার পরদিন হয় তা বেগুনভাতে ভাত,-অনেক সময় তাহাও মিলিত না । সুতরাং হারু মণ্ডল যখন মরিয়া গেল, তখন পরাণের ঘরে একটি পয়সাও ছিল না। দুই বাপবোঁটায় রোজগার কারিত ; এখন বাবা চলিয়া গেল ; একেলা পরাণ চাষের কাজই দেখিবে, না জনমজুরই খাটবে। তবে সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, বাড়ীতে খাইবার লোক সবে তিন জন। তবুও পরাণকে খাটিতে হইত ; সে যে দুদণ্ড বসিবে, বা ছোট ভাইটীর তত্ত্ব লাইবে, তাহা আর তাহার ঘটয়া উঠিত না। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বা কোন কোন দিন সন্ধ্যার সময় বাড়ী আসিয়া সে শুধু বলিত “ওরে নয়নে, গরু দুটাে গোয়ালে তুলেছিস্ত, ভাল ক’রে জাব দিইছিল?”নয়ান যখন সন্মতিসূচক ঘাড় নাড়িত, তখন পরাণ নিশ্চিন্ত হইয়া বলিত “তবে এক কলকে তামুক সাজ ।” নয়ান তামাক সাজিয়া দিত, পরাণ তামাক খাইয়া হাত মুখ W»