পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল ; কিন্তু তাহার পূর্বেই দুবৃত্তেরা আমার স্ত্রীকে লইয়া পলায়ন করিয়াছিল । সমস্ত রাত্রি পাড়ার সকলে মিলিয়া আমাদের গ্রামে এবং নিকটবৰ্ত্তী ৩৪খানি গ্রামের ঘাটে মাঠে জঙ্গলে অনুসন্ধান করিয়াছিল, কিন্তু কেহই তাহদের খোজ পায় নাই। প্ৰাতঃকালে আমাদের গ্রামের পশ্চিমদিকের মাঠে এক শম্ভক্ষেত্রের পাৰ্থে আমার স্ত্রীকে অৰ্দ্ধমৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই সংবাদ পাইয়া দাদা তৎক্ষণাৎ পালকী বেহার লইয়া আমার স্ত্রীকে সেই পালকীতে উঠাইয়া লইয়া থানায় চলিয়া গিয়াছেন। “এই কথা শুনিয়া আমি দুই চক্ষুতে অন্ধকার দেখিলাম। আমার মাথা ঘুরিয়া গেল। আমি সেই স্থানে বসিয়া: পড়িলাম, বড় বৌদিদি আমাকে কোলের মধ্যে জড়াইয়া ধরিয়া বসিলেন। তাহার পরই আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িলাম। “আমার যখন জ্ঞানসঞ্চার হইল। তখন দেখিলাম, আমার পাৰ্থে আমাদের গ্রামের ডাক্তারবাবু বসিয়া আছেন ; চারিদিকে চাহিয়া দেখিলাম গ্রামের আরও কয়েকজন লোক ঘরের মধ্যে বসিয়া, দাড়াইয়া আছেন। আমি ক্ষীণকণ্ঠে ডাকিলাম-‘দাদা !” দাদা ঘরের মধ্যেই ছিলেন। আমার আহবান শুনিয়া তিনি আমার বিছানার নিকটে আসিয়া দাড়াইলেন। দাদার এমন ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি আমি আর কখনও দেখি নাই। চক্ষু দুইটি রক্তবর্ণ, মুখে ভয়ঙ্কর ক্রোধের চিহ্ন ; তঁহাকে দেখিয়া উন্মাদ বলিয়াই বােধ হইল। আমি ধীরে, ধীরে বলিলাম ‘কোন সন্ধান পাওয়া গেল কি ?” দাদা চীৎকার করিয়া বলিলেন, “দেখে নেবা! তাদের ভিটে মাটী শ্মশান করে তবে আমি ছাড়ব। দারোগাবাবু এসে লাগিলেন। আমি আবার জিজ্ঞাসা করিলাম ‘তারপর? আমার প্রশ্ন SS