পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাদা আমার দিকে ফিরিয়া দাড়াইলেন, তীব্র স্বরে বলিলেন, “ওর আবার কি হবে । ওকে কি আর ঘরে নেওয়া যায় ? পাজী বেটাদের দণ্ড হয়ে গেল, ও এখন যেখানে ইচ্ছে সেখানে চলে যাক-ওর সঙ্গে আমাদের কোন সম্বন্ধ নেই।” অভাগী দূরে দাড়াইয়া এই কথাগুলি শুনিল—তাহার তখন লজ্জা ভয় কোথায় চলিয়া গেল। সে দৌড়িয়া আসিয়া আমার পা দুখানি জড়াইয়া ধরিল। তাহার পর আমার মুখের দিকে চাহিয়া অশ্রুপূর্ণনয়নে চীৎকার করিয়া বলিল, “ওগো, তুমি আমায় রক্ষে কর, আমায় ভাসিয়ে দিয়ে যেও না ।” এতদিন যে কথা ভাবিয়াছি, পাষণ্ড, কাপুরুষ আমি এতদিন যে কথার মীমাংসা করিতে পারি নাই, সে দিন এক মুহূৰ্ত্তেই ঐ সাধবী রমণীর স্পর্শে, ঐ নিরপরাধা পতিপ্ৰাণ যুবতীর অশ্রুবিন্দুতে, তাহার করুণ কাতর হৃদয়ভেদী প্রার্থনায় আমার সে প্রশ্নের মীমাংসা হইয়া গেল। আমি দেশ কাল পাত্র ভুলিয়া গেলাম, আমি সঙ্কোচ লজ্জা ভয় ভুলিয়া গেলাম, ভূত ভবিষ্যৎ ভুলিয়া গেলাম, বৰ্ত্তমান আমার চক্ষুর সম্মুখে রহিল। চাহিয়া দেখিলাম আমার পদদ্বয় ধরিয়া রহিয়াছে-এক দেবীরূপিণী রমণী ;-সে আমার স্ত্রী যাহাকে আমি আমার জীবনের সঙ্গিনী করিয়াছিলাম, অগ্নিসাক্ষী করিয়া যাহাকে রক্ষা করিবার জন্য প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিলাম-সেই যুবতী আমার পদতলে। চাহিয়া দেখিলাম তাহার সর্বাঙ্গ দিয়া সতীত্বের বিমল জ্যোতিঃ বিচ্ছরিত হইতেছে। - “আমি তখন দৃঢ়স্বরে দাদাকে বলিলাম, “তোমাদের সঙ্গে ইহার সম্বন্ধ না থাকিতে পারে, কিন্তু এ আমার স্ত্রী, আমার রক্ষণীয়া । আমি ইহাকে রক্ষা করিতে পারি নাই-সে দোষ আমার, না ইহার। কাহার অপরাধে কাহাকে দণ্ড দিতে চাও ? যাও, তোমরা ঘরে চলিয়া যাও । আমি তোমা Ro