পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“丐可一 একটু 丐可一” ংস্কৃত উপাধি-পরীক্ষার ফল রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত হইলে দেখিলাম—অথবা ঠিক বলিতে গেলে বলিতে হয়, শুনিলাম-আমি উত্তীর্ণ হইয়াছি এবং কাব্যতীর্থ উপাধি লাভ করিয়াছি। এই সংবাদ শ্ৰবণ করিয়া আমার মাতৃদেবী এবং বড়দিদি ঠাকুরাণী আনন্দিতা হইলেন। পিতৃদেব বিশেষ আনন্দ প্ৰকাশ না করিয়া এই অভিমত প্ৰকাশ করিলেন, “কাব্যতীর্থ উপাধি লাভ অপরের পক্ষে বিশেষ শ্লাঘ্য হইতে পারে, কিন্তু ৬/রামকান্ত তর্কবাগীশের পৌত্র, জয়চন্দ্র তর্কসিদ্ধান্তের পুত্রের ইহাতে গৌরবের কথা কিছুই নাই। কাব্য সকলেই অধিগত করিতে পারে। আগামী বর্ষে তুমি যদি স্মৃতির পরীক্ষায় সৰ্ব্বোত্তম স্থান অধিকার করিতে পাের, তাহা হইলে বুঝিব তুমি আমাদের বংশ-গৌরব অক্ষুন্ন রাখিতে পরিবে ।” আমার কিন্তু আর পরীক্ষা দিবার ইচ্ছা ছিল না । পিতৃদেবের সম্মুখে কথাটা বলিবার সাহস পাইলাম না। সোঁড়াগ্যক্রমে আমার দিদি ঠাকুরাণী অন্য ভাবে সেই কথাটা বলিয়া ফেলিলেন । তিনি বলিলেন, “বাবা, হরচন্দ্রের আর, পরীক্ষা দিয়ে কাজ নেই। তোমার কাছে যা স্মৃতি পড়েছে, তাতে তুমিই একটা উপাধি দিয়ে ওকে টােলে বসিয়ে দাও । বয়স্থ দেখে একটা মেয়ে এনে বিয়ে দিয়ে । দাও-আমার মেয়েটারও একটা গতি কর-তার পর ওদের ঘরগৃহস্থালীতে স্থিতি করে চল তুমি, আমি, আর মা কাশী চলে যাই।” পিতৃদেব ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, “যতগুলি কৰ্ত্তব্য অসম্পূর্ণ V)