পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে, তা সমস্তই তুমি বলে ফেল্পে মা-একটি কথা তুমি প্ৰণিধান করা নাই। ইদানীং আমাদের প্রদত্ত উপাধির আর তেমন সম্মান নাই। বাবাজীবন স্মৃতি শাস্ত্র যা অধ্যয়ন করেছেন, তা একজন পণ্ডিতের *স্পক্ষে’ যথেষ্ট, তত্ৰাপি তঁাহার স্মৃতি-শাস্ত্ৰে উপাধি পরীক্ষায় উৰ্ত্তীর্ণ হইবার প্রয়োজন আছে। রাজকীয় উপাধি লাভ করিলে অধ্যাপকের গৌরব বৃদ্ধি হয়, চতুষ্পাঠিরও শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। অতএব মা, আর একটি বৎসর ধৈৰ্য্য ধারণ করা। বাবাজীবন স্মৃতির উপাধি লাভ করিলে, তাহার উদ্বােহক্রিয়া সম্পন্ন করিব। আর তোমার কন্যার জন্য যদি উৎকৃষ্ট পাত্রের সংযোজন না হয়, তাহা হইলে এই বৃদ্ধ বয়সে আমাকেই পুনরায় বরের আসন গ্ৰহণ করিতে হইবে।” এই কথোপকথনের পর যখন এক বৎসর চলিয়া গেল, তখন আমি স্মৃতিশাস্ত্ৰে উপাধি পরীক্ষা প্ৰদান করিয়া গৃহে ফিরিয়া আসিলাম। মনে করিলাম। এইবার নিশ্চিন্তমনে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করিব। মাথার উপর পিতা মাতা রহিয়াছেন, গৃহে মাতৃসমা বিধবা জ্যেষ্ঠ সহোদরা রহিয়াছেন, শিষ্য যজমান যথেষ্ট আছে, জমিজমাও নিতান্ত কম নাই ; * আর ভাই ভগিনীও নাই-আমার অভাব কি ! পৃথিবীতে যাহা কিছু প্ৰাৰ্থনীয়, সে সমস্তই আমার আছে। ভবিতব্য অলক্ষ্যে থাকিয়া বলিলেন, “সব আছে!” পরীক্ষার ফল বাহির হইবারও অবকাশ সহিল না-একদিন প্ৰাতঃকালে পিতৃদেব বিস্তুচিকা রোগে আক্রান্ত হইলেন, অপরাহ কালেই তাঁহার দেহাবসান হইল। সন্ধ্যার পরে তাঁহার পবিত্ৰ দেহ শ্মশানে লইয়া গেলাম ; রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইলে গৃহে ফিরিয়া দেখি মাতৃদেবীও উক্ত রোগাক্রান্ত হইয়াছেন। পূৰ্ব্বদিন যে সময়ে পিতৃদেব চক্ষু মুদ্রিত করেন, পরদিন ঠিক সেই সময়ে মাতৃদেবীও আমাদিগকে y RS