পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিত্যাগ করিয়া গেলেন। তৎপরদিন অপরাত্নকালে ঠিক সেই সময়েই সংবাদ পাইলাম, আমি স্মৃতির পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়া সৰ্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছি। দিদি কঁদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “এ সংবাদটা বাবা, মা শুনেও যেতে পারলেন না!” পিতৃকাৰ্য্য শেষ করিলাম। মহাসমারোহেই কাৰ্য্য শেষ হইল। পিতার যেমন দেশজোড়া নাম ছিল, তাহার শ্ৰাদ্ধকাৰ্য্য সেই ভাবেই সম্পন্ন করিতে হইল ; তাহার জন্য আমাকে বিপন্ন বা ঋণগ্ৰস্ত হইতে হয় নাই ; বদ্ধিষ্ণু শিষ্যগণই সে ব্যয়ভার বহন করিয়াছিলেন। এই সমস্ত ব্যাপার শেষ হইয়া গেলে আমি অধ্যাপনা কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইলাম। একদিন সন্ধ্যার পর দিদির সহিত গল্প করিতে করিতে বলিলাম, “দেখ দিদি, বাবার তিনটি ইচ্ছা এখনও অসম্পূর্ণ রহিয়াছে। প্রথম-আমার বিবাহ। দ্বিতীয়-তোমার কন্যার বিবাহ। তৃতীয় . তোমাকে কাশীধামে প্রেরণ। বাবা মা ত কাশীশ্বরের চরণে পৌছিয়াছেন, এখন তোমাকে কাশীতে পাঠাইতে পারিলেই হয়। তবে তার পূর্বেই সুরমার বিবাহ কাৰ্য্যটা শেষ করিতে হইবে।” দিদি বলিলেন, “আর তোমার বিবাহ!” আমি বলিলাম, “এত বড় মহামহােপাধ্যায় পণ্ডিতের কন্যা হইয়া তুমি এমন অশাস্ত্রীয় কথাটা বলিলে দিদি ! এটি যে আমার মহাগুরু নিপাতের বৎসর। এই কালাশোচের মধ্যে অরক্ষণীয়া কন্যার বিবাহ হইতে পারে বটে, কিন্তু পুত্র যে কখনও অরক্ষণীয় হয় এবং কালাশোচের মধ্যে, তাহার বিবাহ হইতে পারে, স্মৃতিশাস্ত্ৰে ত তাহার বিধান নাই দিদি ! অতএব এক বৎসরের জন্য তোমাকে ধৈৰ্য্যধারণ করিতেই হইতেছে। তাই বলিয়া সুরমার বিবাহে বিলম্ব করা যাইতে পারে না । আজ ; , >२१