পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ মাসের পনরই, যাহাতে এই আষাঢ় মাসের মধ্যে শুভকাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে পারি, তাহার চেষ্টা করিতে হইবে।” দিদি বলিলেন, “মেয়ের বিয়ে যাতে শীঘ্র হয়, তার চেষ্টা ত করতেই হবে; কিন্তু এই কয়দিন হল বাবা-মায়ের শ্রাদ্ধে যথেষ্ট ব্যয় হয়ে গেল, এখন আবার এতগুলি টাকা কোথা থেকে আসবে ?” আমি বলিলাম “দিদি, তুমি সে জন্য ভাবিও না। শ্ৰাদ্ধের সময় যে সব বড় বড় শিষ্য এসেছিলেন, তঁাদের আমি বলেছিলাম বাপ মায়ের শ্ৰাদ্ধ পুত্রের শক্তিসাপেক্ষ, কিন্তু কন্যার বিবাহ শক্তিসাপেক্ষ নয়। পারি আর না পারি, মেয়ের বিয়ে দিতে গেলেই টাকা খরচ করিতেই হইবে। তা তারা আমাকে ভরসা দিয়ে গিয়েছেন যে, দুই তিন হাজার টাকার জন্য কিছুই আটকাবে না। তাই ত সাহস করে বলছি, আষাঢ় মাসের মধ্যেই সুরমার বিয়ে দেব।” দিদি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন, “সবই হবে । কিন্তু মা-বাবা যে দেখে যেতে পারলেন না, এ দুঃখ আর যাবে না।” আষাঢ় মাসেই সুরমার বিবাহ দিলাম। কলিকাতা' হাইকোর্টের উকিল গিরিশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের পুত্ৰ শ্ৰীমান সুধাংশুভুষণের সহিত সুরমার বিবাহ হইল। সুধাংশু তখন রিপন কলেজের তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিতেছিল। তাহদের অবস্থাও খুব ভাল,— ঘর, বর, বিষয়, সম্পত্তি, মান, সম্রাম যাহা কিছু দেখিয়া কন্যার বিবাহ, দিতে হয়, আমি একবারে তাঁহাই পাইয়াছিলাম। বরকর্তা যদিও একটি • পয়সাও গ্রহণ করেন নাই, তবুও আমাকে যথেষ্ট ব্যয় করিতে হইয়াছিল। যে চায়, যে দর করে, অবস্থায় কুলাইলে তাহার সহিত পারিয়া উঠা যায় ; কিন্তু যে দরদস্তুর করে না, “আপনার জামাই মেয়ে, যা দিতে হয় দিবেন।” বলিয়া এক কথায় সারিয়া দেয়, তাহার সহিত ব্যবহার করিতে বড়ই Re