পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধুইতে যাইত। তাহার পর তাহার স্ত্রী যাহা কোলের কাছে ধরিয়া দিত, তাহাই দুইটা নাকে মুখে দিয়া শুইয়া পড়িত। ভাইয়ের যে অযত্ন হইতেছে বা হইতে পারে, একথা তাহার মনেই আসিত না। তাহার স্ত্রীর প্রকৃতি তাহার অবিদিত ছিল না, কিন্তু সেই ভালমানুষের মেয়ে ষে এমন একটা কচি ছেলের উপর কোন অত্যাচার করিতে পারে, এ কথা তাহার সাদাসিদে চাষা বুদ্ধিতে আসিত না। একদিন পরাণের স্ত্রী নয়ানকে পুকুর হইতে একটা পাথরের বাটী ধুইয়া আনিতে বলিয়াছিল। পাড়াগায়ের পুকুরে ত আর বাধা ঘাট থাকে না, ইটের তৈরি সিড়িও থাকে না। নয়ানদের বাড়ীর পাশেই যে পুকুর ছিল, তাহার একটা ঘাটে দুইটা তালগাছ ফেলা ছিল ; সেই তালের গুড়ি দুইটাই ঘাটের সিড়ির কাজ করিত। জলের মধ্যে থাকিয়া থাকিয়া গুড়ি দুইটায় সেতলা ধরিয়া গিয়াছিল ; ভয়ানক পিচ্ছিল হইয়াছিল। সকলেই বিশেষ সাবধানে সেই ঘাটে নামা ওঠা করিত। নয়ান যখন পাথরের বাটী ধুইবার জন্য ঘাটে যায়, তখন বৌ বলিয়াছিল “জলদি আসিস, তোর তৃত আঠারো মাসে বছর।” পাছে বিলম্ব হইলে গালাগালি খাইতে হয়, এই ভয়ে নয়ান যেই তাড়াতাড়ি ঘাটে নামিতে গিয়াছে, আমনই তাহার পা পিছ লাইয়া গেল এবং হাতের বাটটা তালের গুড়ির উপর পড়িয়া একেবারে দুইখানি হইয়া গেল ; নয়ানও বিশেষ আঘাত *iाङ्ग्रेव्ज । নয়ান তাড়াতাড়ি গা ঝাড়িয়া উঠিয়া দেখে বাটটা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। তখন তাহার আঘাতের বেদনার কথা আর মনে থাকিল না ; তাহার অপেক্ষাও গুরুতর বেদন যে আজ তাহার নসিবে আছে, তাহাই ভাবিয়া বালক কঁাদিয়া ফেলিল। বাড়ী যাইতে তাহাঁর সাহসী হইল না। সে “ একবার মনে করিল, এখনকার মত তা পলায়ন করি, তাহার পর যাহা হয় 8