পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেচনা করিতে হয় ;-আমারও তাহাই হইয়াছিল। সেই জন্যই আমার খরচ কিঞ্চিৎ অধিক হইয়াছিল। বিশেষতঃ দিদির একমাত্ৰ কন্যা-বাবা মা' থাকিলে তাঁহার যতদূর করিতেন, তাহার অপেক্ষা আমাকে অধিকই করিতে হইল। আপাততঃ সমস্ত দায় উদ্ধান্ত্র হইল মনে ভাবিয়া আমি নিশ্চিন্ত হইলাম। ব্যাপারের মধ্যে রহিল আমার বিবাহ !—সে ত আর দায় নহে। যখন তখন করিলেই হইবে।--আর না করিলেই বা কি ! ভবিতব্য অলক্ষ্যে থাকিয়া বলিলেন, “হা, ड्रेझें !” আষাঢ় মাসে সুরমার বিবাহ দিলাম-আশ্বিন মাসে তাহার শাশুড়ী বিশেষ অনুরোধ করিয়া তাহাকে লইয়া গেলেন। বড়মানুষের বাড়ী, যথাসাধ্য পূজার তত্ত্ব পাঠাইলাম। পূজার কয়দিন পরে সুরমাকে মানিতে চাহিলাম ; কিন্তু তাহার শাশুড়ী তাহাকে কিছুতেই ছাড়িয়া দিলেন না, বলিলেন, “কাৰ্ত্তিক মাসটা এখানেই থাকুক ; অগ্রহায়ণ মাসে শীত পড়িলে লইয়া যাইবেন।” সুরমাকে বুঝাইয়া সুজাইয়া রাখিয়া আসিলাম। দিদির ঐ একমাত্ৰ সন্তান-তিনি দুঃখ করিতে লাগিলেন। আমি তঁহাকে অনেক করিয়া বুঝাইয়া শান্ত করিলাম। . অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে একদিন অপরাহ কালে আমার চতুষ্পাঠী গৃহের বারান্দায় বসিয়া আছি—এমন সময়ে একজন পিয়ন আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল “এই কি হরচন্দ্র স্মৃতিতীর্থের টােল!” ” আমি বলিলাম “হা, কেন ?” পিয়ান বলিল “র্তাহার নামে একখানি টেলিগ্ৰাম আছে।” এখন পল্লীগ্রামে চিঠি পত্ৰ সৰ্ব্বদা আসিয়া থাকে ; কিন্তু টেলিগ্রাম অতি অল্পই আসে এবং যাহা আসে তাহাতে প্ৰায়ই বিপদের সংবাদ থাকে । সুতরাং টেলিগ্রামের নাম শুনিয়া আমার মুখ শুকাইয়া গেল, বুক কঁাপিতে > R